২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৩:১৩

ঢাকার চকবাজারে একটি ভবনে আগুন লেগে ৭৮-এর অধিক সংখ্যক নিহত এবং আরো বহুসংখ্যক আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ

গত ২০ ফেব্রুয়ারী রাতে রাজধানী ঢাকার চকবাজারে একটি ভবনে আগুন লেগে তা আশে-পাশে ছড়িয়ে পরে ৭৮-এর অধিক সংখ্যক মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত এবং আরো বহুসংখ্যক লোক আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ২১ ফেব্রুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ঢাকা মহানগরীর চকবাজারের একটি ভবনে আগুন লেগে তা আশে-পাশে ছড়িয়ে পরে ৭৮-এর অধিক সংখ্যক লোক মর্মান্তিকভাবে নিহত ও বহুসংখ্যক লোক আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত এবং মর্মাহত। এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

দেশবাসী ইতোপূর্বেও লক্ষ্য করেছে যে, পুরান ঢাকায় কেমিক্যালের গোডাউনে আগুন লেগে বহুসংখ্যক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। তারপরেও সরকারের টনক নড়েনি। তখন তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু সে তদন্ত কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি। সকলেই একমত যে, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেমিক্যালের গুদাম বা দোকান থাকা উচিত নয়। তা সত্ত্বেও পুরান ঢাকার জনবসতি এলাকায় কেমিক্যালের গুদাম বা দোকান থাকে কি করে? এ ব্যাপারে সরকারই সিংহভাগ দায়ী। সরকারের অবহেলা ও অদূরদর্শিতার কারণেই একশ্রেণীর অর্থলোভী ব্যবসায়ী জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেমিক্যালের গুদাম তৈরী করে ব্যবসা করছে। অবিলম্বে এসব দোকান ও গুদাম বন্ধ করে দেয়া উচিত।

চকবাজারে সংঘটিত অগ্নিকান্ডে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবার-পরিজন এবং আহদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দান ও আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা এবং জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে কেমিক্যালের দোকান ও গুদাম সরিয়ে নেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এ দূর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন আমি তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের পরিবার-পরিজন ও যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং তাদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি।”