গুম হওয়া ব্যক্তিদের তাদের পরিবারের নিকট ফেরত দেওয়া হোক

৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৫জন নেতা-কর্মীসহ সারা বাংলাদেশে গুম হওয়া সকলকে তাদের পরিবার-পরিজনদের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেনঃ-

এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের হিসেব মতে বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী-ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মোট ৪ শত ৩২ জন মানুষকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা অপহরণ করে গুম করেছে। তাদের মধ্যে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ২শত ৫০ জনের। অজ্ঞাতবাস থেকে যারা ফিরে এসেছেন তারা কেউই অপহরণকারীদের ব্যাপারে মুখ খোলেননি। অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।

যারা গুম হয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের পুত্র সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য শহীদ মীর কাসেম আলীর পুত্র সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার আরমান আহমদ বিন কাসেম, হাফেজ জাকির হোসাইন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা আল মোকাদ্দাস, মোহাম্মদ ওলিউল্লাহ এবং বিএনপি’র নেতা জনাব ইলিয়াস আলী ও সাবেক কমিশনার চৌধুরী আলমসহ আরো অনেক নেতা-কর্মী।

যারা গুম হয়েছেন তাদের পরিবার-পরিজন অত্যন্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। অনেকেরই পিতা-মাতা এবং স্ত্রীসহ আপনজন শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গুম হওয়া ব্যক্তিদের তাদের পরিবারের নিকট ফেরত দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট আবেদন-নিবেদন করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি।

সরকারের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকার গুম হওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজন সাংবাদিক সম্মেলন করে আপনজনকে পরিবারের নিকট ফেরত দেওয়ার জন্য বক্তব্য দেওয়া সত্ত্বেও সরকার কোন সাড়া দিচ্ছেন না।

গুম হওয়া ব্যক্তি ও তাদের পরিবার-পরিজনদের আর কষ্ট না দিয়ে তাদের পরিবারের নিকট অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমি আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”