আরও

১৩ জুলাই ২০১৪, রবিবার

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসলাইলী বাহিনীর নির্বিচারে বোমা হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে জামায়াতের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী মুহম্মদ সেলিম উদ্দীন বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলী বর্বরতা ইতিহাসের সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বেসামরিক লোকজনসহ নিরাপরাধ নারী-শিশুদের উপর দখলদার বাহিনীর নির্বিচারে বোমা হামলা ও নির্মম নিধনযজ্ঞ ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমিকে রক্তাক্ত করেছে। হায়েনাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি মসজিদ ও মুসল্লীরাও। তিনি পবিত্র রমজান মাসে ইসরাইলী দখলদার বাহিনীর নির্বিচারে বোমা হামলা ও নির্মম গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ, ওআইসি ও আরবলীগসহ বিশ্বসংস্থাগুলোর প্রতি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।

তিনি আজ রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসলাইলী দখলদার বাহিনীর নির্বিচারে বোমা হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে বর্বরোচিত হামলা বন্ধের দাবীতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে একথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর শাহজাদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ড. রেজাউল করিম, ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য এ এস এম আলাউদ্দীন, মহানগরীর মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যাপক আ জ ম কামাল উদ্দীন, সালাহউদ্দীন ও নাজিম উদ্দীন মোল্লা, শিবিরের মহানগরী উত্তরের সভাপতি ফয়সাল ও উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত আমীর আবু ওমর প্রমূখ।

সেলিম উদ্দীন বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ইসরাইলী দখলদার বাহিনী শান্তির জনপদ গাজাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন শত শত নিরাপরাধ মানুষ। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে। মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ এবং ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজার অসংখ্য বাড়ীঘর ও সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। ফলে দিশেহারা হয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনী নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে উদভ্রান্তের মত ছুটছে। দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর নির্মম গণহত্যায় বিশ্ববাসী সোচ্চার হলেও তারা সেদিকে কোন তোয়াক্কা না করে বেসামরিক জনপদে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। তারা গাজায় স্থল আক্রমণেরও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যা গাজায় নতুন করে রক্তপাত ও মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। তিনি অবিলম্বে ইসরাইলী বাহিনীর প্রতি সকল প্রকার হামলা বন্ধের আহবান জানান।

তিনি বলেন, ইসরাইলের আধিপত্যবাদী মনোবৃত্তির কারণেই গাজায় এই নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। তারা মানবিক মূল্যবোধকে পদদলিত করে সন্ত্রাসবাদকেই রাষ্ট্রীয় নীতি হিসাবে গ্রহণ করেছে। ইসরাইলী বাহিনীর এই নির্মম গণহত্যা সাম্প্রতিক সময়ের সকল নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। তারা ফিলিস্তিনীদের নিজ বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করে দখলদার বাহিনী তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। তিনি ইসলামী বাহিনীর দখলদারিত্ব মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে সোচ্চার ভূমিকা পালনের আহবান জানান। অন্যথায় গাজায় নির্মমতা বন্ধ ও মানবিক বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হবে না।
গাজায় দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর নির্বিচারে বোমা বর্ষণ ও নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধের দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর রমনা-খিলগাঁও জোনের উদ্যোগে রাজধানীর রামপুরায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শুরা সদস্য শামসুর রহমান, আবু নাবিল ও সাইয়্যেদ হাসান ঈমাম, জামায়াত নেতা সাইদুর রহমান, শিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্বের সেক্রেটারী মনিরুজ্জামান শামীন, ছাত্রনেতা আব্দুল কাদের ও তোজাম্মেল হক প্রমূখ।

সমাবেশে অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন বলেন, বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিধনের ধারাবাহিকতায় দখলদার ইসরাইলী বাহিনী গাজা উপত্যকায় নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। হায়েনাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বেসামরিক লোকজনসহ নারী ও শিশুরা। দখলদার বাহিনী বিশ্বজনমকে তোয়াক্কা না করে শান্তির জনপদকে অশান্ত করে তুলেছে। যা অতীতের সকল নির্মমতাকে হার মানিয়েছে। তিনি দখলদার বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং গণহত্যা বন্ধে বিশ্বসম্প্রদায়কে সোচ্চার ভূমিকা পালনের আহবান জানান।

তিনি বলেন, উপর্যুপরি ইসরাইলী হামলায় গাজায় মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় শুরু হয়েছে। তারা ইতোমধ্যেই শতশত নিরাপরাধ নারী-পুরুষকে হত্যা করেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও পূরুষ রয়েছে। তারা পুরো গাজা নগরীকে ধবংসস্তুপে পরিণত করছে। আশ্রয়হারা মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে। কিন্তু ইসলাইলী হায়েনাদের নির্মম বোমা হামলা অব্যাহত আছে এবং তারা গাজায় স্থল হামলার প্রস্তুতিও শুরু করেছে। তিনি অবিলম্বে দখলদার বাহিনীর হামলা বন্ধ এবং হামলা বন্ধে বিশ্বসংস্থাগুলোকে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরআহবান জানান।