> বিগত পাঁচ বছর চারদলীয় জোট সরকারে অংশগ্রহণ করে জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী দেশবাসীর সামনে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, সকল প্রকার দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অন্যায়-অবিচার হতে সম্পূর্ণ মুক্ত থেকে দক্ষ ও যোগ্যতার সাথে সরকার পরিচালনা করা সম্ভব। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে জামায়াতের দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাদের মন্ত্রণালয়ে কোন দুর্নীতির প্রমাণ না পাওয়া তার বড় প্রমাণ।
> জামায়াতের এমপিগণ জাতীয় সংসদে ভূমিকা পালনের সাথে সাথে নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করে জনগণের মধ্যে এক নবজাগরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন।
> জামায়াতের আমীর কৃষি মন্ত্রী থাকাকালে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে সচিবালয় থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত কৃষি সেক্টরে ব্যাপক গতি সঞ্চার করা হয়।
> রফতানিযোগ্য কৃষি পণ্যের উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি করা হয়।
> দারিদ্র্য বিমোচন ও কৃষকের ক্ষমতায়নের জন্য “চাষীর বাড়ি-বাগান বাড়ি” প্রকল্প চালু করা হয়।
> সহজে পণ্য বিক্রয়ের জন্য কমিউনিটি মার্কেট প্রতিষ্ঠা করা হয়।
> বৃক্ষরোপন অভিযানের সাথে ফলজ গাছের রোপণ অন্তর্ভুক্ত করে ফল চাষের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করা হয়। দেশীয় ফলের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুন হয়।
> প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সকল গবেষণা প্রতিষ্ঠানে চলতি দায়িত্বের স্থলে পূর্ণকালীন মহাপরিচালক নিয়োগ করা হয়।
> মাঠ পর্যায়ের প্রায় ১২০০০ ব্লক সুপারভাইজারদের পদ আপগ্রেড করে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার পদে পদায়ন করা হয়- যুগান্তকারী এ পদক্ষেপের ফলে কৃষি উন্নয়নে তাদের আগ্রহ ও নিষ্ঠা বৃদ্ধি পায়।
> দেশে দ্রুত শিল্পায়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, দেশব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) শিল্পের ব্যাপক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শিল্প নীতি-২০০৫ এবং এসএমই উন্নয়ননীতি কৌশল-২০০৫ প্রণয়ন করা হয়।
> দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা আরো বেগবান করার জন্য স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (এসএমই) ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়।
> বিএসটিআই’র আধুনিকায়ন, ন্যাশনাল এ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড গঠন, পেটেন্ট অফিস এবং ট্রেডমার্ক রেজিষ্ট্রি অফিসকে একীভূত করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর গঠন, বিএসটিআই’র আধুনিকায়ন করা হয়।
> বন্ধ শিল্প যেমন কর্ণফুলী পেপার মিলস লিঃ (কেপিএম)-এর কস্টিক ক্লোরিন প্লান্ট ও খুলনা হার্ডবোর্ড মিল পুনঃচালু করা হয়।
> ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে মহিলাদের কর্মসংস্থান ও সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে শিল্পোদ্যোক্তা ফোরাম গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
> সফল সার ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতের উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের আধুনিকায়ন করা হয়।
> লবন উৎপাদন দ্বিগুন হয়। চিনি শিল্পে প্রথম দু’বছরের প্রচেষ্টায় ১২ বছর ধরে চলা লোকসান বন্ধ হয় এবং ৩য় বছরের শেষে লাভজনক শিল্পে পরিণত হয়।
> এ সময়ে শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধির হার অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।
> এছাড়াও কৃষি ও শিল্প সেক্টরে অনেক উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়, ফলে দেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জিত হয়।
> জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী থাকাকালে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দারিদ্র্য বিমোচন ও মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে ঋণ, অনুদান, আয়বর্ধক, প্রশিক্ষণ, ইত্যাদি কর্মসূচী গ্রহণ ও সম্প্রসারণ করা হয়।
> উপরোক্ত কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য বাজেট প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি করা হয় ।
> বয়স্ক ভাতাভোগীদের সংখ্যা ৪ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি করে ১৭ লক্ষে উন্নীত করা এবং ভাতা বৃদ্ধিসহ বাজেট প্রায় ৮ গুণ বৃদ্ধি করা হয়।
> গরীব-দুস্থ-অসহায় ব্যক্তিদের জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য ডায়াবেটিক হাসপাতাল, হার্ট ফাউন্ডেশন ও অন্যান্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণ করা হয়।
> প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন ও কল্যাণে ৮ দফা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।
> প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভাতা ও বিনাসুদে ঋণ প্রদান এবং প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য ছাত্রবৃত্তি প্রদানের স্থায়ী নিয়ম চালু করা হয়।
> প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আয়বর্ধক কমসূচী যেমন, মিনারেল ওয়াটার উৎপাদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও বিপণন ব্যবস্থা চালু করা এবং প্লাষ্টিক দ্রব্যের উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা হয়।