২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার

ক্রীড়া মানুষে মানুষে সম্পৃতি ও সৌহার্দ বৃদ্ধি করে এবং সৃজনশীল হতে উৎসাহিত করেঃ সেলিম উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, মাতৃভাষা সকল মানুষের কাছে শ্রদ্ধা ও ভালবাসার। তাই মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় সালাম, বরকত, রফিক ও জব্বারের মত বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের দীর্ঘদিন পরেও ভাষা শহীদদের স্বপ্ন আজও পুরুণ হয়নি। রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে বাংলা ভাষার প্রচলন আজও করা সম্ভব হয়নি। এমনকি চিকিৎসা বিজ্ঞান, আইনশাস্ত্র, প্রকৌশল বিদ্যাসহ গবেষণা গ্রন্থগুলোকে আজও বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা হয়নি। তাই ভাষা শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও বাংলা ভাষাকে সর্বজনীন করতে সরকারকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি ভাষার মর্যাদা রক্ষায় সলককে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

তিনি আজ রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের রামপুরা থানা আয়োজিত ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগী উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য ডা. ফখরুদ্দীন মানিকের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারী এফ এ ফজলুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমীর এইচ ইমাম, শ্রমিকল্যাণ সেক্রেটারি প্রফেসর এ হালিম, বায়তুলমাল সম্পাদক এম এ রশীদ, তারবিয়াত সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান শামীম, যুব এবং স্বেচ্ছাসেবক সেক্রেটারি এ এস ফরহাদ, আইন সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান, ওলামা বিভাগ সম্পাদক মাওলানা এস ইসলাম, শিবির সভাপতি গোলাম মুরতুজা, ওয়ার্ড সভাপতি মাও এ লতিফ, জেড এ স্বধীণ, এইচ রহমান, আজিজুল ইসলাম, মাওলানা আবুল হাসনাত পাটোয়ারী, হাফেজ এ ইসলাম, এ এ রিয়াদ, মাওলানা এম হোসেন, ওয়ার্ড সেক্রেটারী এস আলম, মাওলানা এন ইসলাম, শেখ বাদশাহ, মাওলানা জাকির, জালাল রহমান, শাহজাহান, রাসেল, গিয়াস উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতা এবং কর্মীবৃন্দ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, মূলত ইসলামপন্থীরা ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিলেন। তমুদ্দন মজলিশের মাধ্যমে এর বিস্তৃতি ঘটে। প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। অধ্যাপক গোলাম আযম ছিলেন ভাষা আন্দোলনের তুখোর ছাত্রনেতা। তিনি ভাষার দাবিতে মানপত্রও পাঠ করেছিলেন। কিন্তু দেশের বামপন্থীরা ভাষা আন্দোলনের কৃতিত্ব ছিনতাই করে নিয়েছে। ক্ষমতাসীনদের প্রতিহিংসা ও সংকীর্ণতার কারণেই অধ্যাপক গোলাম আযমকে ভাষা সৈনিক হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। এমনকি তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে অধ্যাপক গোলাম আযমকে গণমানুষের মন থেকে মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি। তিনি ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযমকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং হীনমন্যতা পরিহার করে তাকে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

তিনি বলেন, সুস্থ্যধারার ক্রীড়া ও সংস্কৃতিচর্চা মানুষের মেধা ও মনন বিকাশে সহায়ক হয়। এমনকি তা মানুষের শরীর ও স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

ইসলামে শরীরচর্চা ও সুস্থ্যধারার ক্রীড়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। বৈধপন্থার আত্মবিনোদনকে ইসলাম স্বীকৃতি দিয়েছে। বস্তুত ক্রীড়া মানুষে মানুষে সম্পৃতি ও সৌহার্দ বৃদ্ধি করে এবং সৃজনশীল হতে উৎসাহিত করে। তাই যুবসমাজের মেধা ও মননের বিকাশ, স্বাস্থ্যবান জাতি গঠন ও নতুন প্রজন্মকে অনুসন্ধিৎসু ও সৃজনশীল মানসিকতা সম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে সুস্থ্যধারার ক্রীড়াচর্চার কোন বিকল্প। তিনি এ বিষয়ে দেশের ক্রীড়া সংগঠকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।