১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
১ মে ২০১৭, সোমবার

শ্রমিক আন্দোলনের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে ইসলামী শ্রমনীতির সংগ্রাম জোরদার করতে হবে -মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যাগে ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার রাজধানীর এক মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের অনেক বছর পেরিয়ে গেলেও সারা পৃথিবীর শ্রমিকরা ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে তাদের ন্যায্য অধিকার পায়নি। ইসলামী শ্রমনীতি চালু হলেই কেবল শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবে। তাই শ্রমিক আন্দোলনের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে ইসলামী শ্রমনীতির সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের অঙ্গিকার নিয়ে একটি কল্যাণময় ইসসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বিরামহীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিক অঙ্গনে মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক, উৎপাদনশীলতা ও জাতীয় উন্নয়নে ট্রেড ইউনিয়ন সমূহকে অবদান রাখতে আরও নিষ্ঠাপরায়ণ ভূমিকা রাখার আহবান জানান। এ কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে, সমাজবাদ ও পুঁজিবাদের ব্যর্থতায় মেহনতি শ্রমিক সমাজ ইসলামী শ্রমনীতির নতুন ধারায় ফিরে আসতে চায়। এ পথই ন্যায় ও সুবিচার পূর্ণ সমাজ ও সুবিচার পূর্ণ সমাজ ও আর্থ-সামাজিক উন্নত জ্বীনের নিশ্চয়তা দিতে পারে। তিনি আরও বলেন, ইসলামী পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা কায়েম হলেই কেবল ইসলামী শ্রমনীতিসহ সব দিক ও বিভাগ চালু হওয়া সম্ভব। তাই আমাদেরকে ইসলামী শ্রমনীতির সুফল জনগণের কাছে পৌছে দেবার প্রচেষ্টা জোরদার করার পাশাপাশি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকেও একই সাথে এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি নিম্নোক্ত দাবি জানান। শিল্প ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মুনাফায় শ্রমিকদের অংশ প্রদান করতে হবে। বন্ধ মিল কারখানা চালু করতে হবে। শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের নুন্যতম মজরী ১০ হাজার টাকা চালু করতে হবে। কল কারখানায় ঝুঁকিমমুক্ত কর্ম পরিবেশ তৈরীর পাশাপাশি আহত ও নিহত শ্রমিকদে উপযুক্ত ক্ষতিপুরন নিশ্চিত করতে হবে। শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে এবং আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ এর পুর্ন বাস্তবায়ন করে সকল পেশায় অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক কবীর আহমেদ, মজিবুর রহমান ভুইয়া, মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হাসান রাজু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মনসুর রহমান, অফিস সম্পাদক আবুল হাশেম প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

http://www.dailysangram.com/post/282132