২৫ আগস্ট ২০২৪, রবিবার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন-এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জাতিকে বিভক্ত নয় বরং জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামী দিনগুলোতে জাতিগঠনের জন্য যার যার জায়গা থেকে আমরা অবদান রাখবো ইনশাআল্লাহ। সে জন্য আমাদের সঙ্গে আপনাদেরকে পেতে চাই। আমরা কোন বিভক্ত জাতি চাচ্ছি না। ধর্মের ভিত্তিতেও না, দলের ভিত্তিতেও না। দল এবং ধর্ম যার যার অবস্থানে থাকবে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবো। বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

২৫ আগস্ট রবিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন-এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ও মাওলানা আবদুল হালিম, নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান (হাজী শরীয়তুল্লাহর নাতি), ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমীর মাওলানা আবু তাহের জিহাদী আল কাসেমী, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, এসোসিয়েশন ফর ইসলামিক মিডিয়া পার্সোনালিটিজ-এর সেক্রেটারি জেনারেল হাফেজ মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ বকসী, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের তথ্য সম্পাদক মাওলানা মোঃ ফজলুল করিম।

আমীরে জামায়াত বলেন, “দীর্ঘ সাড়ে পনেরো বছর দুঃশাসনের পর গত ৫ আগস্ট দেশের পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তানের পর দেশটা কিভাবে শান্তি-শৃঙ্খলার দিকে ফিরে আসবে এবং দেশের প্রত্যেক নাগরিক তার জান-মাল-ইজ্জত-আব্রু নিয়ে শান্তি ও মর্যাদার সাথে বসবাস করতে পারে এ রকম একটি পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য আমাদের করণীয় কী হতে পারে, আমরা সেই বিষয়গুলো আলোচনা করেছি এবং আমরা একমত হয়েছি। আমরা কোন মাইনোরিটি ও মেজোরিটি চাই না, আমরা চাই একতা। যে জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকে সে জাতির ভাগ্য পরিবর্তন হয়। এটা কেউ আটকিয়ে রাখতে পারে না এবং জাতি মর্যাদার সাথে তার আশা দুনিয়ার বুকে তৈরী করে নেয়।

আমীরে জামায়াত আরও বলেন, এই আন্দোলন করতে গিয়ে অসংখ্য তাজা প্রাণ চলে গেছে। আমরা তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থ করুন। দেশের ভিতরে যেমন আমরা গুলির সামনে লড়াই করেছি ঠিক তেমনিভাবে সারা বিশ্ব জুড়ে যেখানে বাংলাদেশীরা আছেন তারাও আমাদের সাথে সমানতালে লড়াই করেছেন। এই লড়াই করতে গিয়ে বহু জায়গায় মিছিল-মিটিং হয়েছে। বিগত সরকার দুর্নীতি করার কারণে দেশে তারা রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। এই যুদ্ধ তারা সমানতালে চালিয়েছেন। আমরা তাদের মোবারকবাদ জানাই। ছাত্রজনতার সাথে তালমিলিয়ে বিদেশের মাটিতে আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। আমরা বর্তমান সরকারকে অনুরোধ করবো রেমিট্যান্সদাতা যাদেরকে আমরা রেমিটেন্স যোদ্ধা বলি তাদেরকে যেন অতি দ্রুত মর্যাদা সম্পন্ন করা হয়। তাদেরকে ঐদেশে সম্ভব হলে ওখানে পুনর্বাসন করা, না হলে অত্যন্ত মর্যাদার সাথে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা। আমরা আশা করবো দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের মুক্তি হবে। এই ক্ষেত্রে আপনাদেরকেও আমরা সোচ্চার ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাবো।”

বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান বলেন, “আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায়ের পরে আমি আমীরে জামায়াতকে অসংখ্য ধন্যবাদ, মুবারকবাদ জানাই। উনি দেশের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একটি সুন্দর রাষ্ট্র গঠন এবং সমাজব্যবস্থার জন্য আমরা উনার সাথে একমত পোষণ করেছি। বাংলাদেশের আলেম-উলামা, রাজনৈতিক ইসলামিক দল আমরা সকলে একযোগে কাজ করে যাবো, ইনশাআল্লাহ।