বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, অপার সম্ভাবনার দেশ আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমি। কিন্তু নেতিবাচক ও বিভেদের রাজনীতির কারণেই আমরা সে সম্ভবনাগুলোকে কাজে লাগাতে পারছি না। ক্ষমতাসীনদের অতিমাত্রায় ক্ষমতালিপ্সার কারণেই দেশ এখন নানাবিধ সঙ্কটে পড়েছে। তাই দেশ ও জাতিকে এই গভীর সঙ্কট থেকে বাঁচাতে সকলকে আবারো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি আজ ৩১ মে জুমা’বার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা দক্ষিণ আয়োজিত উপজেলা/থানা মাজলিসে শূরা সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি এবিএম কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার। সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমীর জনাব মোঃ শাহিনুর ইসলাম, জামায়াত নেতা ডা: শহিদুজ্জামানসহ জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “সরকার দেশকে মেধা ও নেতৃত্বশূণ্য করতেই নানাবিধ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এজন্য তারা দেশপ্রেমী ও আদর্শবাদী শক্তি জামায়াতকে বিশেষভাবে টার্গেট করে শীর্ষনেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। কিন্তু শত জুলুম-নির্যাতন চালিয়েও জামায়াতের অগ্রযাত্রা রোধ করতে পারেনি এবং পারবেও না ইনশাআল্লাহ। সকল প্রকার জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করেই জামায়াত একদিন লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে এবং জাতিকে নেতৃত্ব দেবে।” তিনি ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে একযোগে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, “ইসলামী আন্দোলনের পথ কখনো ফুল বিছানো ছিল না; এখনো নয়। জুলুম-নির্যাতন ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। আর বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় জামায়াত একটি দূর্জেয় ও অপ্রতিরোধ্য শক্তি। তাই জামায়াতের বিজয় ঠেকানোর সাধ্য কারো নেই। এমতাবস্থায় বাতিল শক্তির জুলুম-নির্যাতনে হতোদ্দম হলে চলবে না বরং সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সংগঠনের সকল পর্যায়ে ভ্রাতৃত্বের পরিবেশ রক্ষা সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি।”
মাওলানা আব্দুল জব্বার বলেন, “আমাদের নতুন প্রজন্মকে ধ্বংসের জন্য দেশে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে। তাই দেশ ও জাতিকে অপসংস্কৃতির বেড়াজাল থেকে বাঁচাতে জাতিকে আত্মসচেতন করে তুলতে হবে। আর ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্ব একটি আমানত। তাই দায়িত্বশীলদের আমানতের খেয়ানত করলে চলবে না বরং স্ব-স্ব দায়িত্ব ঈমানী দায়িত্ব হিসাবে যথাযথভাবে পালন করতে হবে। দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য সকলকে দ্বীনি কাজে আপোষহীন থাকতে হবে।”