১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার

নরসিংদী জেলা জামায়াতের উদ্যোগে সদস্য শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত

জালেম সরকারের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে- অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সত্য পথে চলা, সত্য কথা বলা, সত্যকে ধারণ করা ঈমানের দাবি। এই দাবি পূরণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পৃথিবীর কোনো স্বৈরাচার সত্যবাদীদেরকে সহ্য করতে পারে না। এজন্য তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হকপন্থীদের নির্মূল করতে চায়। কিন্তু হকপন্থীদের নির্মূল করা যায় না। ভয় এবং আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে জাগানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জামায়াতে ইসলামী নরসিংদী জেলা শাখার উদ্যোগে ভার্চুয়ালি আয়োজিত সদস্য শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান উপরোক্ত কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, “মহান আল্লাহর লাখ কোটি শুকরিয়া যে, তিনি আমাদের মুসলিম হিসেবে কবুল করেছেন এবং একটি সত্যনিষ্ঠ দলের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। দ্বীনকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামে আমরা শপথ নিয়েছি। যতদিন দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন শপথের ওপর বলিয়ান থেকে দ্বীন কায়েমের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে এবং দ্বীন কায়েমের আন্দোলন থেকে বিরতি নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন ও সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। জেলা আমীর মাওলানা মোছলেহুদ্দীনের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি আমজাদ হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দসহ জেলা সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।

ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “নবীগণের কাজের ধারাবাহিকতায় আল্লাহর যমিনে কাজ করছে জামায়াত। জামায়াতের সদস্যগণ সেই কাজের বাস্তব সাক্ষী। সদস্য হওয়ার পর সদস্যের মর্যাদা রক্ষা, সদস্য পদের মানোবনতি রোধ করা এবং মানের ক্রমোন্নতির জন্য চেষ্টা-ফিকির করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই হারামের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না। মানুষের অধিকার ও কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করার চলমান আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে। কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”

মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “আমাদের পরিবার আমাদের জন্য নেয়ামত। ইসলামী পরিবার গঠনের জন্য আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক জনশক্তির পরিবার হবে শরিয়তের নির্দেশনার আলোকে এক একটি মডেল পরিবার।”

জনাব সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, “আনুগত্য হলো সংগঠনের প্রাণ। আনুগত্যশীল কর্মীবাহিনী সংগঠনকে মজবুত করতে পারে। পাশাপাশি জনশক্তির পরামর্শ এবং মুহাসাবার ভিত্তিতে সংগঠন পরিচালিত হলে সে সংগঠন শক্তিশালী হয় এবং গতি লাভ করে।”

মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, “সংগঠনের মূল দায়িত্ব হলো জনশক্তির মান উন্নয়ন করা এবং এলাকার পরিবেশ ও সাংগঠনিক অবস্থার সমন্বয়ে একটি মজবুত সংগঠনের ভিত রচিত করা। সংগঠনের সেই মজবুত ভিত রচনায় তিনি সবাইকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।”