১৯ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার

নরসিংদী জেলা জামায়াতের যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যুবসমাজকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে: ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ তাহের

যৌবনকাল আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যেক মানুষের অন্যতম নিয়ামত। এ নিয়ামতের কদর করা যুবকের দায়িত্ব। যৌবনকালের দাবি হলো আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দেখানো পথে ও কল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত থেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য মজবুত কদমে বলিষ্ঠতার সাথে এগিয়ে যাওয়া। এটা ঠিক যে, যুবকদেরকে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যত বাধা-বিপত্তিই আসুক না কেন, তা উপেক্ষা করে আল্লাহর গোলামিয়াতের পথে থাকতে হবে। জীবন দর্শন হিসাবে ইসলামী আদর্শ আজ বিকশিত হচ্ছে। এ আদর্শকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব যুবকদেরকেই নিতে হবে।

১৯ আগস্ট শুক্রবার আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে নরসিংদী জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম-এ আয়োজিত এক যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ তাহের উপরোক্ত কথা বলেন।

জেলা আমীর মাওলানা মোছলেহুদ্দীনের সভাপতিত্বে ও জেলা যুব বিভাগের সেক্রেটারি জনাব মকবুল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চলের পরিচালক জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর নায়েবে আমীর আব্দুল জব্বার, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসাইন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মাহফুজ ভূঁইয়া প্রমুখ।

ডা. তাহের বলেন, “বিশ্বব্যাপী আলোচনা বা কর্মপরিকল্পনার মূল লক্ষ্য যুবক। তাদেরকে আদর্শচ্যূত করার জন্য চলছে নানা রকম চক্রান্ত। সে ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া যাবেনা। হালাল-হারামের সীমা মেনে চলতে হবে। চাকরি নয়, উদ্যোক্তা হয়ে অন্যের কর্মসংস্থান করতে হবে। সমস্যায় কাতর না হয়ে যোগ্যতা অর্জন করে তা মোকাবেলা করতে হবে। দ্বীনের পথে চলাকে জীবনের প্রধান মিশন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।”

বিশেষ অতিথি জনাব সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, “যুবকরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দাওয়াতকে সম্প্রসারিত করেছে, জিহাদ করেছে। রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। তিনি সাহাবায়ে কেরামগণের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, সাহাবাদের মতো আজকের যুবকদের শান্তিপূর্ণ সমাজ কায়েমে মূল ভূমিকা রাখতে হবে। যুবকরা জেগে উঠলেই কেবল মানবতা মুক্তি পাবে এবং জালিমের তখতে তাউছ খান খান হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।”

জনাব আব্দুল জব্বার বলেন, “যৌবনকাল অতি মূল্যবান হওয়ায় আখেরাতে আল্লাহ স্বতন্ত্রভাবে যৌবন সম্পর্কে জানতে চাইবেন। সঠিক ইসলামী আদর্শ মতে জীবন চালাতে পারলে আল্লাহর সামনে দাঁড়ানো সহজ হয়ে যাবে।”

বিশেষ অতিথি মাওলানা আমজাদ হোসাইন বলেন, “ইসলামী জীবনবোধে যুবকদেরকে গুরুত্বপূর্ণ আসনে স্থান দেয়া হয়েছে। নবীগণ যুবক ছিলেন। নবীগণের অধিকাংশ অনুসারীগণও ছিলেন যুবক। তাই ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুবকদেরকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।”