২৬ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার

ঢাকা উত্তর সাংগঠনিক জেলা আয়োজিত থানা কর্মপরিষদ সদস্যদের শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত

একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ‘দাওয়াতে দ্বীনের’ কোনো বিকল্প নেই- মতিউর রহমান আকন্দ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, “একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং ঘুমন্ত মুসলমান জাতিকে জাগাতে দাওয়াতে দ্বীনের কোনো বিকল্প নেই। ইসলাম একটি সুমহান আদর্শের নাম। মানবজীবনের প্রতিটি দিক ও বিভাগের পূর্ণাঙ্গ সমাধান রয়েছে ইসলামে। পবিত্র কুরআন নিয়ে যথার্থ গবেষণা, গভীর অধ্যবসায় এবং সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমেই মুসলমানগণ তাদের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ।”

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা উত্তর সাংগঠনিক জেলা আয়োজিত থানা কর্মপরিষদ সদস্যদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা উত্তর সাংগঠনিক জেলা আমীর মাও: মো: আফজাল হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাও: মো: শাহাদাত হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা অঞ্চল উত্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. সামিউল হক ফারুকী, অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন।

প্রধান অতিথি মতিউর রহমান আকন্দ আরো বলেন, “ইসলামের সুমহান দাওয়াত সাধারণ মানুষের কাছে যোগ্যতা, দক্ষতা ও হিকমার সাথে তুলে ধরতে হবে। দাওয়াত হবে নৈতিকতা সমৃদ্ধ, এর ভাষা হবে হৃদয়গ্রাহী। উন্নত আমল এবং কল্যাণকামিতা হবে দা’য়ীর প্রধান গুণ। দাওয়াতের নিঃস্বার্থতা দাওয়াতকে করবে গ্রহণযোগ্য। অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্কে না জড়িয়ে একজন দাঈ ইলাল্লাহ হবেন উদার দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী। কোমলতা, ক্ষমা ও সহনশীলতা হবে তার চারিত্রিক ভূষণ। তিনি বলেন, ইসলাম যুদ্ধ বিধ্বস্ত বর্তমান বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র সমাধান। ইসলাম প্রচারকগণকে তা অনুধাবন করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রচারে নিজেদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।

জনাব আকন্দ বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের শিকার অতীতেও যেমন হয়েছে, এখনও হচ্ছে। তথাকথিত দেশি-বিদেশী মানবতাবাদী আন্দোলন ও সংগঠন এবং বিভিন্ন এনজিও বাংলাদেশে নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে ইসলাম ও মুসলমানদের উপর নানামুখী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু ইসলাম বিরোধিরা জানে না, ইসলামের শেকড় এদেশের মাটির অতি গভীরে প্রোথিত। ইসলাম ও মুসলমানদের চেতনা বিরোধী কোনো অপতৎপরতাই এদেশের মানুষ বরদাশত করবে না। তিনি উদারতা ও মধ্যমপন্থার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে ইসলামের বিপ্লবী দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার আহবান জানান।”

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. সামিউল হক ফারুকী বলেন, “ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ব্যবহারিক জীবন হবে অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। তারা তাক্বওয়া ও নৈতিকিতার মানে হবেন কালোত্তীর্ণ। সদাচরণ, আমানতদারিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, অপরকে অগ্রাধিকার দান, কল্যাণ কামনা এবং সৎ কাজের আদেশ দান ও অসৎ কাজের নিষেধের মাধ্যমে আমরা পারিপার্শ্বিকতার উপর বিজয় লাভ করতে পারি।

শিক্ষা শিবিরে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।”