১৮ মার্চ ২০২২, শুক্রবার

যোগ্য নেতৃত্বই সফলতার দ্বার উন্মোচন করতে পারে- মতিউর রহমান আকন্দ

পৃথিবীর কোনো পরিবর্তন শুধু ইচ্ছা বা প্রত্যাশার মাধ্যমে হাসিল হয় না। যোগ্যতা, দক্ষতা ও প্রতিনিধিত্ব আত্মস্থ করতে না পারলে যথার্থ নেতৃত্ব দেয়া যায় না। নেতৃত্বের জন্য অপরিহার্য প্রয়োজন যোগ্যতা ও দক্ষতা। ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা দ্বীন ইসলামের মূল লক্ষ্য। সে লক্ষ্যে কর্ম-তৎপরতা পরিচালনা প্রতিটি মুসলমানের মৌলিক দায়িত্ব।

১৮ মার্চ নরসিংদী জেলা জামায়াত কর্তৃক আয়োজিত লিডারশীপ ডেভলপমেন্ট কোর্স প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। জেলা আমীর মাওলানা মোছলেহুদ্দীনের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য জনাব আব্দুল জব্বার।

প্রধান অতিথি মতিউর রহমান আকন্দ আরো বলেন, “রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদল যোগ্য লোক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন বলেই পৃথিবী একটি সোনালী যুগ পেয়েছিল। তাঁর সংস্পর্শে সাহাবায়ে আজমাইন পরশ পাথরে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁদেরকে এমন চিন্তা-চেতনায় গড়ে তুলেছিলেন যে, যার ইতিবাচক প্রভাবে গোটা আরব জাহান প্রভাবিত হয়েছিল। আজকের যুগেও এসব গুণাবলী অর্জন করে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বকে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে। সেবা গ্রহণ নয়, সেবাদানের আগ্রহ সকল দায়িত্বশীলদের মননে ধারণ করতে হবে।”

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, “শাহাদাত ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনকে বেগবান করে। রক্ত ঝরলে বিপ্লব এগিয়ে আসে। আগামীকালের সূর্য ওঠা যেমন সত্য, তেমনি ইসলামী বিপ্লবও সত্য। আপামর জনসাধারণের মাঝে বিপ্লবের এ দাওয়াত আপনাদেরকে পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করতে হবে।”

বিশেষ অতিথি আব্দুল জব্বার বলেন, “ইসলামের জন্য ব্যক্তি ও সমাজের ইছলাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশুদ্ধ জীবন-যাপন না করলে তাকওয়া অর্জিত হয় না। এর জন্য ইছলাহ খুব জরুরী। তিনি উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের এ বিষয়টি অর্জনের আহ্বান জানান।”