৪ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলায় আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে অসংখ্য বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ মোট ১২ জন নিহত হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিহতদের ১২টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ৮ এপ্রিল আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। নিহতদের পরিবারের সাথে সশরীরে সাক্ষাত করে এ সহযোগিতা প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “সরকারের দায়িত্ব ছিলো এ সব ক্ষতিগ্রস্ত দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু সরকারের উদাসীনতার কারণে এ সব ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারগুলো কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি। জামায়াতে ইসলামী তার সামর্থ্যরে আলোকে এ সব অসহায় পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। দুঃখ-কষ্টের সময় আল্লাহর সাহায্য চাইতে হয়। আল্লাহর রাসুল (সা) এটাই শিক্ষা দিয়েছেন।”
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টীম সদস্য ও গাইবান্ধা জেলার সাবেক আমীর ডা. আব্দুর রহীম সরকার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অন্যতম সদস্য, গাইবান্ধা জেলা শাখার আমীর ও গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল করিম , জেলা নায়েবে আমীর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকার, জেলা কর্মপরিষদের সদস্য ফয়সাল কবির রানা, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আমীর মোঃ শহিদুল ইসলাম মঞ্জু, সদর উপজেলা আমীর ডা. আব্দুল হামিদ, পলাশবাড়ী উপজেলা আমীর জনাব আবু বকর সিদ্দিক, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুল বারী, সদর উপজেলা সেক্রেটারি নুরুন্নবী সরকারসহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
আর্থিক সহযোগিতা প্রাপ্ত পরিবারগুলো হলো গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের সরকারতারি গ্রামের জোসনা রাণী (৬০), হরিনসিংহা তিনগাছের তল গ্রামের শিশু মনির মিয়া (৫), আরিফ খাঁ বাসুদেবপুর গ্রামের আরজিনা (২৮) ও মালিবাড়ি ইউনিয়নের ধনধনি গ্রামের সাহারা বেগম (৪০), গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের শারমিন বেগম (২০) নামে এক নব বধূ, গোবিন্দগঞ্জ বালুয়াহাটের জাহিদুল ইসলাম (৪৩), পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রামের জাহানারা বেগম (৫০), একই ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের গাফ্ফার মিয়া (৪২) ও মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের মমতা বেগম (৫৫), ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি গ্রামের শিমুলি আকতার (২৭) ও এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের ডাকাতিয়ার চর গ্রামের হাফেজ উদ্দিন (৪৪) এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামের ময়না বেগম (৪০)।