আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরনে রিকশা-ভ্যান বিতরণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নুরুল ইসলাম বুলবুল
২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, রবিবার

আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরনে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের রিকশা-ভ্যান বিতরণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন ও আত্মকর্সংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজধানীতে অসহায়, বেকার ও শ্রমজীবী মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে রিকশা-ভ্যান সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ ও ব্যবসায়িক পুঁজি হিসেবে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল আজ ২০ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় এই রিকশা-ভ্যান সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলওয়ার হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামাল হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও কদমতলী থানা উত্তরের আমীর আব্দুর রহীম জীবন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও কদমতলী থানা পশ্চিমের আমীর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য শাহীন আহমদ খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

রিকশা-ভ্যান বিতরণের সময় নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, দেশে করোনাকালীন সময় হতে অদ্যবধি প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও শ্রমজীবী মানুষ অভাব অনটনে বেশ কষ্টে আছে। করোনার কারনে দিনমজুর, শ্রমিক ও ছোট ব্যবসায়িদের আয় হ্রাস পেয়েছে এবং দীর্ঘদিন কাজের পরিবেশ না থাকায় চাকুরী হরিয়ে একটি অংশ বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপনে অধিকাংশের ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এমতাবস্থায় একটি দায়িত্বশীল ও আদর্শবাদী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নির্লিপ্ত থাকতে পারে না। তাই আমরা এসব মানুষের দুর্দশা লাঘবে সীমিত সামর্থ নিয়ে এগিয়ে এসেছি। আশা করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস বেকারত্ব দুরীকরণ ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে। সুনানে আবু দাউদের একটি হাদিস উল্লেখ করে তিনি বলেন দুনিয়াবাসীর প্রতি যদি আমরা রহম না করি তাহলে আল্লাহও আমাদের প্রতি রহম করবেন না। ফলে সমাজের মানুষের জন্য আমাদের এই কল্যাণকামী কর্মসুচী আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

নুরুল ইসলাম বুলবুল আরও বলেন, সরকার করোনার এই দুর্যোগে দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা জনগণকে সুশাসন উপহার দিতে পারেনি। ক্ষমতাসীনরা আজ জনগনের মৌলিক চাহিদাগুলো পুরণ করতেও ব্যর্থ হয়েছে। ব্যবসা ও চাকুরী হারিয়ে বেকারত্বের যাঁতাকলে যুবসমাজ আজ অসহায়। ক্ষতিগ্রস্থ এসকল মানুষের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরনে সরকারের কার্যক্রম অত্যন্ত অপ্রতুল। পিঁয়াজ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির ফলে তা এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সেক্টর এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। যা আমাদের এই সোনার বাংলাদেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জাতিকে এ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে ইসলামের সুমহান আদর্শের আলোকে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি সকলকে এই কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকার উদাত্ত আহবান জানান।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ইসলাম সমাজ ও মানবতার কল্যাণকামী ধর্ম। তিনি সুরা আল ইমরানের ১০ নম্বর আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন মানব জাতীর কল্যাণের জন্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমদের পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। ফলে আল্লাহর নির্দেশ ও মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই সমস্যাগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। জামায়াতে ইসলামী কোন গতানুগতিক রাজনৈতিক দল নয় বরং একটি আদর্শবাদী গণমুখী রাজনৈতিক সংগঠন। জামায়াতের সে কল্যাণকামীতার অংশ হিসেবেই বেকারত্ব দূরীকরনে আজ আমরা শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দুর্দশা লাঘবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। তিনি দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আশার জন্য জামায়াত নেতাকর্মীসহ সকল রাজনৈতিক দল ও মানুষের প্রতি আহবান জানান।