বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীতে অসহায় ও দুঃস্থ মহিলাদের মাঝে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও মহিলাদের আত্ম কর্সংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় ২০ জন অসহায় দুঃস্থ মহিলার মাঝে এই সেলাই মেশিন বিতরণ করেন।

সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলওয়ার হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামাল হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও কদমতলী থানা উত্তরের আমীর আব্দুর রহীম জীবন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও কদমতলী থানা পশ্চিমের আমীর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য শাহীন আহমদ খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা এখন করোনাকালীন দুর্যোগ পার করছি। এই ধরনের দুর্যোগের কথা বাংলাদেশের মানুষ আগে কখনো চিন্তা করেনি। এই দুর্যোগে প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এমনকি মা-বোনেরাও তথা মহিলা সমাজও ক্ষতিগ্রস্ত। সরকারের অব্যবস্থাপনার ফলে এমনিতেই দেশের অর্থনীতি ধুঁকছিল। তার উপর করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের কর্মসংস্থান ও সামগ্রিক অর্থনীতি। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা। করোনার এই দুর্যোগ মোকাবেলায় জামায়াতে ইসলামী আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে এবং এই সব উদ্যোগের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আশা করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস বেকারত্ব দুরীকরণ ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সুশাসন উপহার দিতে পারেনি। তারা আজ জনগনের মৌলিক চাহিদাগুলো পুরণ করতে পারছেনা। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে জনজীবন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। এমতাবস্থায় ইনসাফ ভিত্তিক ইসলামী সমাজব্যাবস্থা ছাড়া মানুষ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবেনা। নারী পুরুষ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি উত্তরণে ভূমিকা রাখতে হবে। সেই সাথে নারী পুরুষের অংশগ্রহণে ইসলামী সমাজব্যবস্থা গঠনের বিকল্প নেই। ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রকৃতভাবে একে অপরের সহযোগিতা সহমর্মিতার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে থাকে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদশের ভিত্তিতে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ গঠনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি উপহার দেয়া সম্ভব।