১২ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার

বন্যাদুর্গত এলাকায় পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্য জামায়াতে ইসলামী ৫ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে

আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ১২ জুলাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য জামায়াতের পক্ষ থেকে ৫ কোটি টাকার একটি পুনর্বাসন তহবলি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।

এ সময় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “জুন মাসের ১৬/১৭ তারিখ থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলের বেশ ক’টি জেলায় যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিলো, মহান আল্লাহর সীমাহীন মেহেরবাণীতে তার বেশ কিছু উন্নতি সাধিত হয়েছে। ভয়াবহ এ বন্যায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে, যা এক কথায় অকল্পনীয়। একমাত্র মহান রাব্বুল আলামীনই মানুষের এ ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারেন। বিপন্ন মানুষের জন্যে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে তাঁর একান্ত করুণা ও সাহায্য ভিক্ষা চাই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে মেহেরবাণী করে ক্ষমা করুন এবং আমাদের ওপর তাঁর রাহমাহ ও নুসরাহ (সাহায্য) বর্ষণ করুন।

তিনি আরো বলেন, অন্তরের অন্তস্থল থেকে মহান প্রভুর গভীর শুকরিয়া আদায় করছি। মজলুম সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভয়াবহ বন্যার সূচনালগ্ন থেকেই বিপর্যস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে তার সর্বোচ্চ সামর্থ্য নিয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কাজে নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা পূর্ণ সামর্থ্য নিয়ে রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি হাসিলের আশায়, ক্ষতিগ্রস্ত ভাই-বোনদের কষ্ট লাঘব করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে। এ কাজে আমাদের পাশাপাশি সুধী-শুভাকাক্সক্ষীগণও দরদি হাত ও বুকভরা ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাদের সকলকে দুনিয়া এবং আখিরাতে সম্মানিত করুন, উত্তম জাযা দান করুন।

তিনি বলেন, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মানুষের বেঁচে থাকার জন্যে তথা ক্ষুধার কষ্ট প্রশমিত করার জন্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ সামর্থ্যানুযায়ী ঘরে-ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসগুলোকে কবুল করুন। জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে আসন্ন পরীক্ষার্থী অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তার সামর্থ্যানুযায়ী আর্থিক সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ইনশাআল্লাহ আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের মূল দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু সরকারের ভূমিকা আমাদেরকে বিস্মিত করেছে। বন্যায় বসতভিটাসহ সবকিছু হারিয়ে যারা ঠিকানাবিহীন হয়ে পড়েছেন, মহার রবের ওপর ভরসা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার সর্বোচ্চ সামর্থ্যানুযায়ী পুনর্বাসন তৎপরতা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কাজে আমরা মহান রাব্বুল আলামীনের একান্ত সাহায্য প্রত্যাশী। জনগণের ভালোবাসা, দো’য়া ও সহযোগিতা আন্তরিকভাবে কামনা করি। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের জন্য ৫ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে নতশিরে আরজ করি, তিনি যেন আমাদের এ কাজ সহজ করে দেন, বারাকাহ দিয়ে পরিপ‚র্ণ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে আমাদেরকে পৌঁছে যাওয়ার তাওফিক দান করেন, আমীন।

পাশাপাশি বিভিন্ন দায়িত্বশীল সংগঠন, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও হৃদয়বান ব্যক্তিবর্গকে বিপন্ন মানুষের পুনর্বাসনের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আন্তরিক আহবান জানাচ্ছি। আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হোক, বিপন্ন মানুষের মুখে হাসি ফুটুক, আন্তরিকভাবে এই কামনা করছি।”