১ জুলাই ২০২২, শুক্রবার

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বন্যার্ত মানুষের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর খাদ্য ও উপহার সামগ্রী বিতরণ

বন্যা কবলিত সকল জেলায় জামায়াতের কর্মীরা সাধ্যানুযায়ী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেঃ মতিউর রহমান আকন্দ

দুনিয়ার সব মুসলিম একে অপরের ভাই। বন্যা সহ দুর্যোগের শিকার মানুষেরাও আমাদের ভাই। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা বন্যা বিধ্বস্ত ভাইবোনদেরকে দেখতে এসেছি।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ০১ জুলাই শুক্রবার জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতিভাঙা ইউনিয়নে দুর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য ও উপহার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপরোক্ত কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, “উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পানির সয়লাবে সৃষ্ট সাম্প্রতিক বন্যায় দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুরসহ জামালপুর জেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য ও উপহার সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৩ জুন জেলার সর্বাধিক বন্যাকবলিত ও নদী ভাঙণে বিপর্যস্ত দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের বৌলাতলী, খোলাবাড়ি এবং ইসলামপুর উপজেলার সাপধরি, নোয়ারপাড়া ইউনিয়নে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য ও উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। এরপর থেকে জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় খাদ্য ও উপহার সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে উজানের পানি নেমে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও জামায়াতের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় বিভিন্নমুখী কল্যাণ কার্যক্রম চলমান আছে।

তিনি বলেন, বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। আল্লাহর উপর আস্থা ও ভরসা রেখে ধৈর্য, সাহসিকতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে হবে। গণমানুষের সংগঠন হিসেবে জামায়াত সকল দুর্যোগে সংগ্রামে দেশবাসীর সাথে অতীতে যেমন ছিল, এবারও সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনার শতাব্দীর স্মরণীয় বন্যায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারীসহ বন্যা কবলিত সকল জেলায় জামায়াতের কর্মীরা সাধ্যানুযায়ী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমীরে জামায়াত বন্যায় নদী ভাঙণ এবং বিপর্যস্ত মানুষের অবস্থা দেখতে জামালপুর জেলাও সফর করেছেন। সরকারের উচিত এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় স্বার্থে কাজ করা। কিন্তু জনগণের প্রতি দায় না থাকায় সরকার তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।”

বিশেষ অতিথি জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের বন্যা সহায়তা সমন্বয়ক ড. ছামিউল হক ফারুকী বলেন, “জামায়াত এমনই একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করছে, যেখানে ইনসাফ ও ন্যায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক সুষমবন্টন নিশ্চিত হবে। আর এটার গ্যারান্টি ইসলাম। কুরআন ও সুন্নাহই সুখ ও শান্তির নিশ্চয়তা দিতে পারে। তাই জামায়াত ইসলামের পদ্ধতিকেই সমাজ বদলের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে কাজ করছে।”

এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কাঠারবিল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাংগীর আলম।
উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জামালপুর জেলা আমীর এডভোকেট নাজমুল হক সাঈদী, জেলার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটার এডভোকেট আবদুল আওয়াল, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমান তালুকদার, উপজেলা সেক্রেটারী কাজী আতিকুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি সামাউন সরকার ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হাসান আল বান্নাসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় সমাজকর্মীগণ।