স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় মহাবিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে নেত্রকোনা জেলায়। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে নেত্রকোনা জেলার ৮টি উপজেলা পানির নীচে। পুরো এলাকা জুড়ে বিদ্যুৎ, নেটওয়ার্ক, কিছু ক্ষেত্রে গ্যাসও বিচ্ছিন্ন। অনেক স্থানে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। মানুষ আশ্রয় নিয়েছে অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানে অবস্থিত স্কুলগুলোতে। ঐ সব এলাকায় শুধু পানি আর পানি।
আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান এর নির্দেশে ১৯ জুন নেত্রকোনা জেলার দুর্গত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়। তারা কলমাকান্দি ও মোহনগঞ্জ এলাকার অসহায় বন্যা পীড়িত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, “নেত্রকোনা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। ট্রলারে প্রায় ৩ ঘন্টার যাত্রা পথে শুধু পানি আর পানি। সে এক ভয়াবহ দৃশ্য! এ এলাকার মানুষগুলো কত অসহায় তা নিজ চোখে না দেখলে বুঝা যাবে না।
তিনি বন্যা কবলিত বানভাসী মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের প্রিয় সংগঠন জামায়াতে ইসলামী সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগে আর্ত-পীড়িত মানুষের পাশে থাকে। সমাজের দরিদ্র-অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করা জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম প্রধান এজেন্ডা। তারই অংশ হিসেবে আজ আমরা আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।
তিনি আরো বলেন, মানুষের ভুলের কারণেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের উপর বালা-মুসিবত দেন এই জন্য যে যেন তারা তাদের সেই ভুল বুঝতে পারে এবং তারা ফিরে আসে। আবার তিনিই আমাদেরকে সকল বিপদ-আপদ থেকে উদ্ধার করেন। তাই সকল বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একমাত্র তাঁরই নিকট ধরনা দিতে হবে, যেন তিনি আমাদেরকে এই ভয়াবহ বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। মহান আল্লাহ রবের নিকট দোয়া করে তিনি বন্যাকবলিত মানুষের মুক্তি কামনা করেন।
টীমের অন্য সদস্যগণ হলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল হক ফারুকী, ময়মনসিংহ জেলা আমীর আব্দুল করিম, নেত্রকোনা জেলা আমীর মাওলানা এনামুল হক, ময়মনসিংহ জেলা নায়েবে আমীর কামরুল হাসান মিলন, শিবিরের জেলা সভাপতি প্রমুখ।