১৩ এপ্রিল ২০২২, বুধবার

সিলেট মহানগর জামায়াতের রিকশা বিতরণ

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন করতে স্বনির্ভরতার বিকল্প নেই- ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সারাজীবন গরীব থাকতে হবে তা ঠিক নয়। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হলে প্রয়োজন স্বনির্ভরতা। কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করতে সামর্থবানদের এগিয়ে আসা উচিত। স্বনির্ভরতার সৃষ্টির লক্ষ্যে সিলেট মহানগর জামায়াতের রিকশা বিতরণ একটি মহৎ উদ্যোগ। আমরা সব সময় মানবতার কল্যাণে কাজ করতে চাই। দরিদ্র মানুষের হক তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। কিন্তু এই ভালো কাজটিও একটি গোষ্ঠীর সহ্য হয়না। আমাদের উপর নির্যাতনের স্টীম রোলার চালানো হয়। রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত করা হয়। তবুও আমরা ময়দানে আছি, মানবতার পাশে আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ। এভাবেই বাংলাদেশকে পাল্টাবে, সকল স্তরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে। আজ যেসকল ভাই জামায়াতের পক্ষ থেকে রিকশা পেয়েছেন আগামীতে তারা কয়েকজন মিলে আরো একজন দরিদ্র ভাইকে একটি রিকশা কিনে দিতে পারবেন। এই বাহনকে ব্যবহার করে হালাল রোজী রোজগার করার পাশাপাশি সঞ্চয় করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে ইহকালিন সাফল্য ও পরকালিন মুক্তির পথ প্রশস্ত হবে।

তিনি বুধবার সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে নগরীর মিরাবাজার এলাকায় শ্রমজীবি শ্রমিকদের মাঝে রিকশা বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত রিকশা বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ, সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, শ্রমিক নেতা এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, জামায়াত নেতা মুহাম্মদ আনোয়ার আলী, শ্রমিক নেতা মিয়া মোহাম্মদ রাসেল প্রমূখ।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, জামায়াত শত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আর্ত মানবতার কল্যাণে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। প্রতি বছরের ন্যয় এবারও সিলেট মহানগর জামায়াত সব সময় আর্ত মানবতার কল্যাণে পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের জনকল্যাণ তহবিল থেকে কিছুদিন আগে আমরা কয়েকজন শ্রমজীবী ভাইদেরকে ভ্যানগাড়ী, বোনদেরকে সেলাই মেশিন, অসুস্থ ও কন্যা দায়গ্রস্থ পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা, দরিদ্র পরিবারগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক অনুদান, শীতের সময় শীতবস্ত্র বিতরণ, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ বিতরণ এবং দরিদ্র পরিবারের ছেলে শিশুদের খৎনা করা হয়েছে। শ্রমিকরা রাষ্ট্রের উন্নয়নের প্রধান কারিগর, তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের কারনে দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়। শ্রমজীবি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক সকল জনতাকে এগিয়ে আসা উচিত।