১৫ অক্টোবর ২০১৬, শনিবার

যেকোন ঘটনায় জামায়াতের ওপর দোষারোপ করা আওয়ামী সরকারের নেশা

ভূমিকা:
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি দোষারোপের রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে। দেশের ভিতরে বা বাইরে কোন ঘটনা ঘটেলেই তার দোষ চাপানো হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর। খুন-খরাবি থেকে শূরু করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সব ধরণের চক্রান্তে জামায়াতের ঘাড়েই চাপানো হয় বোঝা। দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও একই ঝংকারে নাচেন। আইন শৃংখলা বাহিনী যখন কোন কুল কিনারা পাননা তখন জামায়াতকে দায়ি করে দ্বায়সারা বক্তব্য প্রদান করেন। এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ও সেই তালে তাল দেয়। জামায়াতের ওপর দোষা চাপানো সরকারের নেশায় পরিণত হয়েছ। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠি স্বঘোষিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) কোন হত্যার দ্বায় স্বীকার করলে সরকারের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, জামায়াতের মদদে আইএস এ ধরণের কাজ করেছে। বোকা মানুষ দুনিয়াতে রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের মন্ত্রীসভায় এতগুলো বোকার বাস, তা কারও বলার অপেক্ষা রাখে না। পরে অবশ্য দেশের পুলিশ সবগুলো কেসের জট খুলতে না পারলেও জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা নেই সেটা বের হয়ে আসে। কিন্তু কেন প্রথমে জামায়াতের ঘাড়ে দোষারোপ চাপানো হয়, তার কোন স্বদুত্তর প্রশাসনের কাছে নেই। নিচে জামায়াতের ওপর চাপানো এমন কিছু দোষারোপ বাস্তবিক অর্থে জামায়াত সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রমাণিত।

এছাড়া জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী দল। জামায়াতে ইসলামী প্রচলিত অর্থে শুধুমাত্র ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক দল নয়। ইসলামে ধর্মীয় জীবনের গুরম্নত্ব আছে বলেই জামায়াত ধর্মীয় দলের দায়িত্ব পালন করে। রাজনৈতিক শক্তি ছাড়া ইসলামী আইন চালু হতে পারে না বলেই জামায়াত রাজনৈতিক ময়দানে কাজ করে। সমাজ সেবা ও সামাজিক সংশোধনের জোর তাকিদ ইসলাম দিয়েছে বলেই জামায়াত সমাজ সেবা ও সমাজ সংস্কারে মনোযোগ দেয়। এ অর্থেই জামায়াতে ইসলামী একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী আন্দোলন।

বিস্তারিত জানতে ও সম্পূর্ণ প্রতিবেদন টি ডাউনলোড করতে পিডিএফ ফাইল থেকেঃ লিঙ্ক