২৯ নভেম্বর ২০১২, বৃহস্পতিবার

১৮ দলীয় জোটের বিশাল সমাবেশে আমীরে জামায়াত মকবুল আহমাদ

জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে সরকার কথিত মানবতাবিরোধী বিচারের নামে প্রহসন করছে

আমীর মকবুল আহমদ বলেন, জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে সরকার কথিত মানবতাবিরোধী বিচারের নামে প্রহসন করছে। এ প্রহসনের বিচার বন্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

মকবুল আহমদ আরো বলেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণে আশুলিয়া গার্মেন্টস কারখানায় ও চট্টগামের বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙ্গে শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। তিনি এ দু'টি দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ধারে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন ও জড়িতদের বিচারের দাবি করেন।

আমীরে জামায়াত বলেন, সরকার দেশের বৈদেশিক আয়ের অন্যতম খাত গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত করছে। দেশের তরুণ সমাজসহ সবাইকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, সরকার সর্বক্ষেত্রে লুটপাটের মহোৎসব শুরু করেছে। দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে। এ দুর্নীতির সাথে সরকারের শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত জড়িত। ডেসটিনি জনগণের যে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তার সাথে সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন জড়িত। মকবুল আহমদ আরো বলেন, দেশে আইনের কোনো শাসন নেই। ভয়াবহ অবস্থা চলছে। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, ২ জন শিবির নেতাকে গুম করা হয়েছে। তাদের লাশও আত্মীয়রা খুঁজে পায়নি। এভাবে এখন প্রতিদিনই খালে বিলে লাশ পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে দেশী-বিদেশী মানবাধিকার সংগঠনগুলো বন্ধের আহবান জানালেও সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। দেশ এখন বিদেশে বন্ধুহীন হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, পুলিশের সামনে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, নারী নির্যাতন হচ্ছে। তারা এসব অপরাধ কর্মকান্ড দমনে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সরকার তাদের শুধু বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করছে। ভারপ্রাপ্ত আমীর বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। কিন্তু সরকার আমাদের সাংবিধানিক স্বীকৃত অধিকারও পালন করতে দিচ্ছে না। মানববন্ধনের মতো কর্মসূচিতেও হামলা চালিয়ে ভন্ডুল করে দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কার্যালয় বন্ধ করে রেখেছে। সেখানে কেউ গেলেই তাকে আটক করা হচ্ছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবেও জামায়াত-শিবিরকে কর্মসূচি করতে দিচ্ছে না সরকার। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে পুলিশ থাকলেও তিনি যুবলীগ, ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার জন্য উস্কে দিচ্ছেন। এভাবে তিনি দেশব্যাপী সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

মকবুল আহমদ বলেন, জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে সরকার কথিত মানবতাবিরোধী বিচারের নামে প্রহসন করছে। এ প্রহসন বন্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তা পালনের মাধ্যমে সরকারের পতন চূড়ান্ত করা হবে। আর এর মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর প্রফেসর গোলাম আযম, বর্তমান আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ সকল নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ্। তিনি অবিলম্বে নির্দলীয় সরকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে কেয়ারটেকার ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করা হবে।

সম্পূর্ণ নিউজটি দেখতে ক্লিক করুনঃ লিঙ্ক