২২ জুন ২০১৯, শনিবার

মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, প্রবীণ জননেতা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সাবেক আমীর, বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের জামায়াতের সম্মানীয় অভিভাবকতুল্য রাজনীতিবিদ হযরত মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরী আজ ২২ জুন ভোর পৌনে ৪টায় হাসপাতালে নেয়ার পথে ৮৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু-আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ১ম নামাজে জানাযা সকাল ১১টায় কুমিরার আই.আই.ইউ.সি ক্যাম্পাসে, দ্বিতীয় নামাজে জানাযা দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক প্যারেড ময়দানে, বিকাল ৫টায় সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের নিজ গ্রামে তৃতীয় নামাজে জানাযা শেষে তাকে স্থানীয় সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

প্রথিতযশা এ রাজনীতিবিদ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত তিনি তার উপর অর্পিত জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে পালন করে গিয়েছেন।

শোকবাণী

মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ২২ জুন ২০১৯ প্রদত্ত এক শোকবাণীতে বলেন, মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরীর ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তার ইন্তেকালে আমি একজন প্রবীণ সহকর্মী ও সাথীকে হারালাম।

বর্তমানে বৃহৎ চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক কার্যক্রমের উন্নতি ও অগ্রগতির পেছনে তার বিরাট অবদান রয়েছে। তিনি একজন অত্যন্ত সাহসী ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তিনি আপোষহীন ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন। তার হাতে গড়ে উঠা নেতৃবৃন্দই বর্তমানে চট্টগ্রাম অঞ্চলে জামায়াতের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার অবদানের কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তার ইন্তেকালে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তার সহজে পূরণ হওয়ার নয়।

শোকবাণীতে তিনি বলেন, হযরত মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরী (রাহিমাহুল্লাহ)-কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাকে নিরাপত্তা দান করুন। তাকে সম্মানিত মেহমান হিসেবে কবুল করুন ও তার কবরকে প্রশস্ত করুন। তার গুণাহখাতাগুলোকে নেকিতে পরিণত করুন। তার জীবনের নেক আমলসমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দান করুন।

শোকবাণীতে তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদেরকে এ শোকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন।