১৪ আগস্ট ২০১৭, সোমবার

ভয়াবহ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সাহায্য নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান

পাহাড়ি ঢলের ফলে দেশের প্রায় সকল নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

দেশের প্রায় সকল নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এবং প্রবল বন্যা ধেয়ে আসায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ১৪ আগষ্ট এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “প্রবল বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের ফলে দেশের প্রায় সকল নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন নদ-নদীর উপর দেয়া বাঁধ ভারতের পক্ষ থেকে খুলে দেওয়ায় ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ইতোমধ্যেই দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগায়ে কমপক্ষে ২১ জন মানুষ মারা গিয়েছে। নীলফামারী এবং লালমনিরহাট জেলায় রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।

বাড়ি-ঘর, জমির ফসল ডুবে যাওয়ায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকগণ উচু জায়গায় অবস্থান নিতে পারলেও হাঁস-মুরগী, ছাগল ও গোবাদি পশু নিয়ে মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় রেল লাইন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বন্যার কারণে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

পানি বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়াবিদগণ ১৯৮৮ সালের চাইতেও ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছেন। ধেয়ে আসা বন্যায় সব কিছু তছনছ করে দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা কবলিত অঞ্চলে খাদ্য, আশ্রয়, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন পানি বাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।

বন্যা কবলিত অঞ্চলে প্রয়োজনের তুলনায় সরকারী সাহায্য একেবারেই অপ্রতুল। সরকারের একগুঁয়েমি মনোভাবের কারণে বিরোধী দল ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে পারছে না।

ভয়াবহ এ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সাহায্য নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলেরই এগিয়ে আসা উচিত। আমি সরকারী সাহায্য পর্যাপ্ত পরিমাণ বাড়ানোর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে জামায়াতের নেতা-কর্মীদেরকেও সাহায্য নিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আশা করি বিত্তশালী ব্যক্তিরা প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে দুর্গতদের পাশে এসে দাঁড়াবেন।”