২৫ জুন ২০২২, শনিবার

২৬ জুন ‘নির্যাতনের শিকারের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস’

যুগের পর যুগ মানুষ নিষ্ঠুর ও নির্দয়ভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নির্যাতিত হয়েছঃ ডা. শফিকুর রহমান

২৬ জুন ‘নির্যাতনের শিকারের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ২৫ জুন নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।

প্রদত্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ দেশের সাধারণ নাগরিকদের নানাভাবে হয়রানি করে জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। ভিন্ন মতের মানুষদের গ্রেফতার করে তাদেরকে বিনা বিচারে বছরের পর বছর কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। দেশের শত শত বরেণ্য আলেমদের গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সম্প্রতি ১১৬ জন বরেণ্য আলেমের বিরুদ্ধে যে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করা হয়েছে, তাতে দেশবাসী স্তম্ভিত। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা শুধু আলেমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয়। বরং দেশ ও ইসলামের বিরুদ্ধে সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এ জাতীয় গর্হিত কাজ কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে গুম, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতন ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বহু মানুষ। সীমাহীন শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। কারণে অকারণে মানুষকে গুম ও খুন করা হচ্ছে। হাজার হাজার নারী-শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। দেশে বাকস্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ করা হয়েছে। কথায় কথায় তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলে আটক করে রাখা হয়েছে। ঘুষ-দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত ‘নির্যাতনের শিকারের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস’-এ আমি বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের নির্যাতিত ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংগঠন ও সম্প্রদায়ের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা। যুগের পর যুগ মানুষ নিষ্ঠুর ও নির্দয়ভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নির্যাতিত হয়েছে। বর্তমান সভ্য আধুনিক যুগেও বিশ্বব্যাপী সংঘাত-সংঘর্ষ জিইয়ে রেখে সাধারণ মানুষের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। সারা বিশ্বেই আদম সন্তানের উপর চালানো নিষ্ঠুর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ হওয়া উচিত।

২৬ জুন জাতিসংঘ ঘোষিত ‘নির্যাতনের শিকারের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস’-এ আমি জাতিসংঘ, বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং ওআইসি-সহ সকল শান্তিকামী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। সেই সাথে বাংলাদেশে আটক সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”