২৬ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার, ২:৩৪

সার্বজনীন পেনশন ও সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা

-ড. মো. নূরুল আমিন

২০২৩ সালের ১৭ আগস্টের এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বাংলাদেশ এই প্রথমবারের মতো তার সামগ্রিক জনসংখ্যাকে সার্বজনীন পেনশন স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই স্কিম অনুযায়ী ১৮ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক ৬০ বছর বয়সে উত্তীর্ণ হলে আজীবন পেনশন সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।

সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সার্বজনীন এই পেনশন পরিকল্পনার অধীনে মোট ছয়টি স্কিম থাকবে। এগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী নামে চারটি স্কিম চালু করা হবে, বাকি স্কিমগুলো পরে বাস্তবায়ন করা হবে। অবশ্য এর মধ্যে গত ১৩ মার্চ সরকার প্রত্যয় নামে আরেকটি স্কিমও চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন।

নিয়মানুযায়ী ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিরা এই পেনশন স্কিমে যোগদান করতে পারবেন এবং ১০ বছর চাঁদার কিস্তি দিয়ে পেনশন ভোগ করতে পারবেন। এজন্য তাদের প্রথমত নিজ নিজ জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে পেনশন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধের পর তাদেরকে একটি নম্বর প্রদান করা হবে যা ব্যবহার করে তারা নিজ নিজ বাড়ি থেকে মোবাইলের আর্থিক সেবার মাধ্যমে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এজন্য একটি এ্যাপ (APP)ও তৈরি করেছেন। যে সমস্ত প্রবাসী কর্মীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা তাদের বৈধ পাসপোর্ট ব্যবহার করে পেনশন স্কিমে যোগ দিতে পারবেন। একইভাবে সাধারণ মানুষের জন্য নির্ধারিত সমতা স্কিমেরও বিস্তারিত সুবিধাদি ও নিয়মকানুন প্রকাশ করা হয়েছে।

অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি যেমন কৃষক, শ্রমিক, জেলে, তাঁতি, কামার-কুমার এদের সকলেই নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক সমতা স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।

চাঁদার হার মাসিক যথাক্রমে ১০০০/-, ২০০০/-, ৩০০০/-, ও ৫০০০/- টাকা। চাঁদা প্রদানের মোট সময়কাল অনুযায়ী তারা মাসিক পেনশন পাবেন। চাঁদার হার অনুযায়ী মাসিক পেনশন হবে নিম্নরূপ :

মাসিক সম্ভাব্য পেনশন
মোট সময়কাল ১০০০,০০২০০০,০০৩০০০,০০৫০০০,০০
৪২ বছর ৩৪৪৬৫/- ৬৮৯৩১ ১০৩৩৯৬/- ১,৭২,৩২৭
৪০ ” ২৯২০০/- ৫৮৪০০/- ৮৭৬০১/- ১,৪৬,০০১
৩৫ ” ১৯১৮৭/- ৩৮৩৭৪/- ৫৭৫৬১/- ৯৫৯৩৫/-
২০ ” ৪৯২৭/- ৯৮৫৪/- ১৪৭৮০/- ২৪৬৩৪/-
১০ ” ১৫৩০/- ৩০৬০/- ৪৫৯১/- ৭৬৫১/-

সুরক্ষা এবং প্রবাসী স্কিমেরও বিস্তারিত সরকার প্রকাশ করেছেন এবং আজীবন পেনশনের লোভনীয় সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একজন সাধারণ মানুষ, দরিদ্র কৃষক, জেলে, তাঁতী, কামার-কুমার, ধোপা-নাপিত, মুচি মাসিক এক হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা পরিশোধ করে ৪২ বছর পর মাসিক ৩৪৪৬৫/- টাকা থেকে ১,৭২,৩২৭ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাওয়ার বিষয়টি যাতা ব্যাপার নয়। যে দেশের সাধারণ একজন দরিদ্র মানুষের মাসিক গড় আয় ২ ডলারের নিচে তার জন্য এর চেয়ে বেশি লোভনীয় আর কী হতে পারে?

এই স্কিমগুলোর আরো অনেক আকর্ষণীয় দিক আছে। প্রত্যেক সুবিধাভোগীর জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালি ব্যাংকে একটি করে একাউন্ট খোলা হবে যাতে করে তারা তাদের কিস্তির টাকা জমা করতে পারেন।

সরকার বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের জন্য যে স্কিমটি নির্ধারণ করেছেন তার নাম হচ্ছে প্রগতি। এই খাতের যেকোনো কর্মচারী মাসিক ২০০০/- টাকা, ৩০০০/- টাকা অথবা ৫০০০/- টাকা কিস্তি পরিশোধের শর্তে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তারা যে পরিমাণ চাঁদা পরিশোধ করবেন তার অন্তত অর্ধেক তাদের বেসরকারি মালিক পক্ষ পরিশোধ করবেন। বলা বাহুল্য এই স্কিমে অংশগ্রহণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ঐচ্ছিক, বাধ্যতামূলক নয়। ১৮ বছর বয়সী কোনো কর্মচারী প্রতি মাসে যদি ২০০০.০০ টাকা করে ৪২ বছর চাঁদা দেন তাহলে ৬০ বছর পূর্তিতে তারা মাসিক ৬৮৯৩১/- টাকা পেনশন পাবেন। যারা মাসিক তিন হাজার টাকা কিস্তি দেবেন তারা মেয়াদ শেষে মাসিক ১,০৩,৩৯৬/- টাকা পেনশন পাবেন। পক্ষান্তরে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা প্রদানকারী সুবিধাভোগীরা প্রতি মাসে ১,৭২,৩২৭ টাকা পেনশন তুলতে পারবেন বলে কর্তৃপক্ষীয় সূত্রে জানা গেছে। গত ১৩ মার্চ সার্বজনীন পেনশন স্ক্রীমের অধীনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে প্রত্যয় নামে নতুন আরেকটি স্ক্রীম চালু করা হয়েছে। সকল স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়াত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই স্কীম গ্রহণ করতে পারবেন।

বর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহ ও তাদের অধীনস্থ সংস্থাসমূহের চাকরিতে যে সমস্ত কর্মকর্তা কর্মচারী চলতি বছরের ১লা জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন তাদেরকে সরকার এই সার্বজনীন পেনশন স্ক্রীমের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কর্মকর্তা কর্মচারীদের যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট আছে তারা আগ্রহী হলে প্রত্যয় স্কীমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান অবস্থায় এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে খুব কম সংখ্যক ক্ষেত্রে পেনশন স্ক্রীম চালু আছে। প্রস্তাবিত স্ক্রীমের অধীনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ইচ্ছুক কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্য মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা (বা কম) তার বেতন থেকে কর্তন করবেন এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে এবং এভাবে পেনশন তহবিল গঠিত হবে। তারা জমা করা টাকার উপর বিনিয়োগ রেয়াত পাবেন এবং প্রাপ্য পেনশন আয়করমুক্ত হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারী অবসর গ্রহণের বয়সে পৌঁছলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ব্যাংক একাউন্টে পেনশনের টাকা জমা হয়ে যাবে। তবে কত জমা হবে তা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়নি।

বাংলাদেশে পেনশন বা অবসর ভাতার বিষয়টি অনেক পুরাতন এবং তা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তীকালে এই ভাতা সরকারি স্কুল কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্যও উন্মুক্ত করা হয়। তবে এই ভাতা সর্বদাই বাজেটারী ব্যবস্থার মধ্যেই পরিচালিত হয়ে আসছে। অবশ্য সরকার সার্বজনীন অবসর ভাতায় যে স্কীমগুলো চালুর ঘোষণা দিয়েছেন তার কোনটি বাজেটারী ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত কিনা এই বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার নয়। সুবিধাভোগী সাধারণ মানুষ ও বেসরকারি সংস্থার নি¤œ বেতনভুক কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত চাঁদা দেয়ার ক্ষমতা তাদের আছে কিনা তা নিয়েও অভিজ্ঞ মহলে নানা বিতর্ক রয়েছে। আমাদের দেশে একজন কৃষকের গড় জমির মালিকানা আধা একরের কাছাকাছি। তার পক্ষে ফসল চাষের জন্য সার, বীজ, সেচের পানি, কীটনাশক, বালাইনাশক ও কামলা খরচ দেয়া অত্যন্ত কঠিন। তাদের অধিকাংশকেই আগাম ফসল বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহ করতে হয়। পারিবারিক ভরন পোষণের জন্য চড়া সুদে টাকা ধারের জন্য মহাজনের দ্বারস্থ হতে হয়। ঋণ শোধের জন্য ফসল উঠার সাথে সাথে স্বল্প মূল্যে তা ফড়িয়া বেপারীদের কাছে বিক্রি করতে হয় তাদের পক্ষে সার্বজনীন পেনশন স্ক্রীমের কিস্তি পরিশোধ কতটুকু বাস্তব তা ভেবে দেখার মত। একই অবস্থা কামার-কুমার, জেলে, তাঁতী, মুচি, সুইপার ও সরকারি বেসরকারি কর্মচারীদের বেলায়ও। সরকার সুইপারদের জন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অনেকগুলো বহুতল ভবন নির্মাণ করে ১৫ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় তাদের নামে বরাদ্দ করেছিলেন। তারা যে বেতন পান তা থেকে এই ভাড়া পরিশোধ করে পাকা দালানে বাস করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। ফলে এই ভবনগুলো এখন ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দখলে চলে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একজন পাহারাদার বা দারোয়ান তার বেতন কত? সাত হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ পনের হাজার টাকা। তাদের জন্য সরকার নির্ধারিত হারে চাঁদা দিয়ে ৪২ বছর পর মোটা অংকের পেনশন ভোগের আকাংখা কতটুকু বাস্তব? এই অবস্থা সকলের বেলায় প্রযোজ্য।

সরকারি পেনশনের কথায়ই ফিরে আসি। সরকারি কর্মকর্তারা চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্তীর পর পেনশন পান। শতভাগ পেনশন সমর্পণ করে কেউ এককালীন নগদ টাকা নিয়ে নেন। আবার কেউ ৫০% সমর্পণ করে নগদ অর্থ যোথ মাসিক পেনশন ভোগ করেন। যারা শতভাগ সমর্পণকারী তারা বৃদ্ধ বয়সে এসে রোগ শোক জ¦রা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে দুর্ভোগে পড়েন এবং এ প্রেক্ষিতে তাদের পেনশন পুনঃস্থাপনের দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল। বর্তমান সরকার ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে নির্বাচনের প্রাক্কালে অবসরপ্রাপ্ত শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন পুনঃস্থাপনের দাবিটি মেনে নেন এবং স্থির করা হয় যে, তাদের অবসরের ১৫ বছর পূর্তির পর এটি পুনঃস্থাপন করা হবে, সরকারের পরিপত্র অনুযায়ী স রকারি, আধা সরকারি, রাষ্ট্রায়াত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার রাজস্ব বাজেটভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই সুবিধা দেয়া হয়। কিন্তু নির্বাচন শেষ হবার এক বছর শেষ হতে না হতেই সরকার এই সুবিধা বন্ধ করে দেন। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন, উচ্চ আদালতে এর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হয়।

বলাবাহুল্য সরকার যে অজুহাতে পুনঃস্থাপিত পেনশন বাতিল করেছেন তা হচ্ছে আদাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও পার্লামেন্টের আইন অনুযায়ী গঠিত সংস্থাসমূহ খাস সরকারি নয়। অনেকে এটিকে সরকারের অসত্য বচন বলে উল্লেখ করেছেন। কেননা এসব প্রতিষ্ঠানের বেতনভাতা সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকেই হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শতভাগ পেনশন সমর্পণ করেননি, তারা বহাল তবিয়তে মাসিক পেনশন ভোগ করছেন। কাজেই এসব প্রতিষ্ঠানের শতভাগ সমর্পণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন পুনঃস্থানে বাধা থাকতে পারে না। কারণ অর্থের উৎস একই। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই ইস্যুটি নিয়ে বাণিজ্যও চলছে বলে জানা যায়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি একজন সংস্থা প্রধান কর্তৃক তার মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত এক পত্রে ১৫ বছর সময় অতিক্রান্তের পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন পুনঃস্থাপনের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃ ডুনর্বিবেচনার সুপারিশ করতে গিয়ে সরকারী নীতির অসঙ্গতি ও স্ববিরোধিতা দুটি নজির তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, অর্থ বিভাগ যে যুক্তিতে সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও আধা সরকারি সংস্থার কর্মচারীদের পেনশন পুনঃস্থাপন সুবিধা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছেন সে যুক্তি তারা নিজেই মানেননি। উদাহরণ হিসেবে তিনি পেট্রো বাংলা এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তাদের পেনশন পুনঃস্থাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, এই দুটি সংস্থা ও আইন বলে প্রতিষ্ঠিত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং একটি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত। এ প্রেসিক্ষেতে তিনি বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বার্ড, কুমিল্লা এবং আরডিএ বগুড়াকেও আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও বোর্ড দ্বারা পরিচালিত স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পেট্রো বাংলা পরমাণু শক্তি কমিশনের ন্যায় এই তিনটি সংস্থার রাজস্ব বাজেটভুক্ত শতভাগ সমর্পণকারী কর্মকর্তাদের ১৫ বছর মেয়াদান্তে পেনশন পুনস্থাপনের অনুমোদন প্রদানের অনুরোধ করেছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী ব্যক্তিদের পেনশন পুনঃস্থাপনের ঘোষণা সরকারই দিয়েছিলেন। সরকার নিজেই এ ব্যাপারে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পশ্চাদপসারণ করে আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সুবিধা বহাল রেখে মানুষের আস্থা হারিয়েছেন। এই অবস্থায় সার্বজনীন পেনশনব স্কীমের ঘোষণা যদি আরো সুস্পষ্ট, বাজেটানুনগ ও নিরাপদ না হয় তাহলে সরকার তার বিশ^াসযোগ্যতা রক্ষা করতে পারবেন বলে মনে হয় না।

https://www.dailysangram.info/post/552282