২৪ মার্চ ২০২৪, রবিবার, ৩:৪২

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েই চলছে ছাই হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ

-২০২৩ সালে দেশে ২৭৬২৪ অগ্নিকা-, নিহত ১০২
-২০২২ সালে ২৪ হাজার অগ্নিকা-ে নিহত ৯৮
-চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে নিহত ৪৬

নাছির উদ্দিন শোয়েব: গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানির অভিজাত এলাকা বেইলি রোডে গ্রীণ কোজি নামে ছয় তলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হয়। আহত হয় অর্ধ শতাধিক। বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর রাজধানীর হোটেল-রেস্তোরাঁয় ব্যাপক অভিযান চালায় রাজউক, সিটি করপোরেশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ অভিযানে কয়েকশ হোটেল-রেস্টুরেন্টে অভিযানে মালিক-কর্মচারীসহ সহস্রাধিক আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর এই অভিযান শিথিল হয়।

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর আলোচনায় আসে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন সংস্থার শিথিলতার বিষয়টি। বিভিন্ন সময় শুধু দায় চাপিয়ে একেক সংস্থা তার দায়িত্ব শেষ করেছে। অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে সমন্বয় করে সংস্থাগুলো কাজ করেনি। যার ফলে বিভিন্ন সময় বড় বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেই চলছে। গত নয় বছরে দেশে এক লাখ ৯০ হাজার ১৬৭টি অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় এক হাজার ৫১ জন নিহত ও তিন হাজার ৬০৬ জন আহত হয়েছেন। অগ্নিকাণ্ড গুলোর প্রধান কারণ হচ্ছে অননুমোদিত ভবন, অবৈধ ভূমি ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তদারকির অভাব। সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলা) আয়োজিত ‘ভবন বিপজ্জনকতায় আচ্ছন্ন নগরী: প্রেক্ষিতে করণীয়’ শীর্ষক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন বাপার সহসভাপতি ও স্থপতি ইকবাল হাবিব। জরিপের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে ২৭,৬২৪ অগ্নিকাণ্ড, নিহত হয়েছেন ১০২। এরআগে ২০২২ সালে ২৪ হাজার ১০২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৮ জন আর আহত হয়েছেন ৪০৭ জন। এর মধ্যে সাধারণ মানুষ ৮৫ জন এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৩ জন। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গত পাঁচ বছরে তথ্য পর্যবেক্ষণ মতে, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে কম অগ্নিকাণ্ড ঘটে বরিশাল বিভাগে। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞজনের মতে, অসচেতনতাই অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ। তাছাড়া শহরগুলো দ্রুত নগরায়ণ হলেও সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে না নগরের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়। দিন দিন সুউচ্চ ভবনে শহর ভরলেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা উপেক্ষিত। পরিবারের চুলা আর শর্ট সার্কিটের আগুনের বিষয় সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দেন তারা। তারা বলেন, এসব ক্ষেত্রে একটু সচেতন হলেই মূল্যবান জীবনের সঙ্গে অর্থসম্পদ রক্ষা করা সম্ভব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের পর দিন সুউচ্চ ভবনগুলো গড়ে উঠছে ইমারত নির্মাণবিধিকে উপেক্ষা করে। এ বিষয়গুলো মনিটরিং করা হচ্ছে না। আবার যারা ইমারত নির্মাণ করছেন তারা কিছু টাকা আর জায়গা বাঁচাতে গিয়ে নিজেরাই আগুনজনিত দুর্ঘটনায় নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষা করেন। ফলে গায়ে গায়ে লেগে থাকা ইমারতের একটিতে আগুন লাগলে তা ছড়িয়ে যাচ্ছে আশপাশে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স থেকে জানা যায়, ছোটদের আগুন নিয়ে খেলা, যন্ত্রাংশের সংঘর্ষ, ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক সংযোগ ও বৈদ্যুতিক যন্ত্র, সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরো, খোলা বাতির ব্যবহার, চুলার আগুন, মিস ফায়ার, চিমনি, রাসায়নিক বিক্রিয়া, বাজি পোড়ানো ইত্যাদি কারণে আগুন লাগে। প্রায় প্রতি মাসে একাধিক আগুন লাগে। বিশালসংখ্যক অগ্নিকা-ের নেপথ্যে শহরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ (এসি, ফ্রিজ),গ্যাসের চুলাসহ আবাসিক এলাকায় দাহ্যপদার্থ রাখা, কারখানা স্থাপন প্রভৃতি কারণের কথা উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে একের পর এক অগ্নিদুর্ঘটনা আর হতাহতের পরও চরিত্র বদলায়নি পুরান ঢাকার। বহাল তবিয়তে ঘিঞ্জি এলাকায় একইসঙ্গে চলছে রাসায়নিকের গুদাম, প্লাস্টিক কারখানা; সেই সঙ্গে মানুষের বসবাস। ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়ে মানুষ দিন পার করলেও শৃঙ্খলায় আনা যাচ্ছে না কারখানা। ফায়ার সার্ভিস বলছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সামনে অপেক্ষা করছে ভয়াবহ বিপদ। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে প্লাস্টিকের নানা পণ্য তৈরি অবশ্যই একটি সম্ভাবনাময় খাত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেমন তার কাজের পরিবেশ?

বিশ্লেষকরা বলেন, নিরাপত্তা শিথিলতার কোনো ফাঁক গলে আগুনের লেলিহান শিখা কোথায় ছড়িয়ে পড়বে তা আগে থেকে অনুমান করার উপায় নেই। তবে সচেতন হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও তার ইত্যাদি ব্যবহারের সময় পণ্যমান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। বাড়িঘর ও কলকারখানায় অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রতিটি এলাকায় পানি সংগ্রহের পর্যাপ্ত উৎস থাকতে হবে। কোথাও আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে জানালেও প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব। ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির কারণে বড় অগ্নিকাণ্ড সবার দৃষ্টি কাড়লেও প্রকৃতপক্ষে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও আগুনের ঘটনা ঘটছে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, এই শহর ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে। আগুনের মতো এ ধরনের দুর্যোগ, দুর্ঘটনা মোকাবিলার সক্ষমতা আমাদের নেই। আইন না মেনে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলছে সুউচ্চ ভবন। কিন্তু সেসব ভবনের আগুন নেভানোর মতো যথেষ্ট সরঞ্জাম থাকছে না। বাসিন্দাদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভবন মালিকদের কাছে সব সময়ই উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।

পুরান ঢাকার কয়েকটি কারখানায় দেখা গেছে, মালামালে ঠাসা জায়গা; আদতে কারখানা নাকি গুদাম ঘর- বুঝে ওঠা দুষ্কর। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্লাস্টিক পণ্য ও প্লাস্টিকের তৈরি কাঁচামালের ফাঁকে কোনোমতে চলছে মেশিন। নেই পা ফেলার সামান্য জায়গাও। সিঁড়িসহ ওপরের তলায়ও থরে থরে সাজানো বস্তার স্তূপের ভিড়ে পা রাখা দায়। ছাদজুড়ে তৈরি পণ্যের গোডাউন, আবার তার পাশেই শ্রমিকদের থাকার ঘর। পুরো পুরান ঢাকাই যেন এখন পরিণত হয়েছে ‘একটি বাড়ি একটি খামারের আদলে প্রতিটি বাড়িতে এক বা একাধিক কারখানায়। যে যেভাবে পারছেন কারখানা চালাচ্ছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ‘নিচে কারখানা, ওপরে মানুষের বসবাস। একদিকে সরু রাস্তা, পানির উৎসের অভাব, অন্যদিকে বাড়ি বাড়ি কারখানা থাকাকে সম্পূর্ণ বেআইনি উল্লেখ করে দ্রুত শৃঙ্খলা ফেরানোর পরামর্শ ফায়ার সার্ভিসের। লালবাগ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মাস্তাফিজুর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, এখানে বিদ্যুতের লাইনগুলোও এলোমেলোভাব আছে। এগুলো গুছিয়ে নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। যত্রতত্র কারখানা স্থাপন বন্ধে বাড়িওয়ালাদেরও লোভ সংবরণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা নিয়ে অসহায় নগরবাসীর প্রশ্ন, প্রায় দুই কোটি মানুষের নির্ভরতার এই নগরী কি নিত্য অবহেলায় আতঙ্কের জনপদ হয়ে উঠছে? সে প্রশ্নের উত্তর যাদের দেওয়ার কথা সেই সরকারি সেবা সংস্থা রাজউক, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিসই আজ আইনের প্রয়োগ না করা ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে প্রশ্রয়ের অভিযোগে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে।

উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনা:
বসুন্ধরা সিটি: ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ বসুন্ধরা সিটিতে লাগা আগুনে মারা যান সাতজন। একই জায়গায় ২০১৬ সালে আবারও ঘটে অগ্নিকা-ের ঘটনা। ঘটনাটি পুরো ঢাকা শহরকে নাড়িয়ে দিয়েছিল তীব্রভাবে।

নিমতলী ট্র্যাজেডি: ২০১০ সালের ৩ জুন রাজধানীর পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের গুদামে বিস্ফোরণ থেকে আগুনের ঘটনায় নারী এবং শিশুসহ নিহত হয় ১২৪ জন। আহত হয় অর্ধশতাধিক। নিমতলীর ৪৩ নম্বর বাড়িতে রাত ৯টায় ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় দুই বোন রুনা আর রত্মা এবং পাশের বাড়িতে আসমা নামে এক মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনেরা পার্লারে সাজছিল। আর বাড়ির নিচতলায় রান্না চলছিল। রান্নার জায়গার পাশেই ছিল কেমিক্যালের গুদাম। প্রচণ্ড তাপে গুদামে থাকা কেমিক্যালের প্লাস্টিক ড্রাম গলে যায়। এরপর মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে দরজা-জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।

চকবাজারের চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডি: ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। রাত পৌনে ১১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। যা ছড়িয়ে পড়ে সড়কে যানজটে আটকে থাকা পিকআপ, প্রাইভেটকার, রিকশা, ঠেলাগাড়ি ও মোটরসাইকেলে। কিছু বুঝে উঠার আগেই যানজটে আটকে থাকা অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। চুড়িহাট্টা মোড় হয়ে ওঠে যেন মৃত্যুকূপ! আগুন লাগার ১৪ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। তার আগেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ৬৭ জনের। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭১। এতে আহত হন কয়েকশ’ মানুষ।

বনানী এফআর টাওয়ার ট্র্যাজেডি: ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ৭০ জন। অগ্নিকাণ্ডের পর আগুন যখন দ্রুত অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে, তখন ভবনের ভেতর আটকাপড়া অনেকে ভবনের কাচ ভেঙে ও রশি দিয়ে নামার চেষ্টা করেন। এ সময় কয়েকজন নিচে পড়ে মারা যান। ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ, বিমান এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ৬ ঘণ্টা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

মগবাজারের বিস্ফোরণ: মগবাজারে ২০২১ সালের ৭ জুন ‘রাখি নীড়’ নামে একটি ভবনের নিচ তলায় বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন দুই শতাধিক ব্যক্তি। বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই বিকট ছিল যে প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা বলেছেন, এমন বিকট আওয়াজ তারা আগে শোনেননি।

রাজধানীর বস্তিতে আগুন: ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ দিবাগত রাত ২টা ৫০ মিনিটে মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। এর আগে, ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ-সংলগ্ন শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে বউবাজার বস্তিতে আগুনে পুড়ে যায় ৫০টি ঘর। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর একই বস্তিতে লাগা আগুনে প্রাণ হারান ১১ জন। একই বছর ১২ মার্চ রাজধানীর পল্লবীর ইলিয়াস আলী মোল্লা বস্তিতে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে বস্তির প্রায় ৫ হাজার ঘরের সব পুড়ে যায়। এ ছাড়া মাঝে মাঝেই বস্তিগুলোতে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে থাকে।

বঙ্গবাজার ও নিউমার্কেটে আগুন: ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ভোরে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। সেদিন বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের পাশাপাশি আরও চারটি মার্কেট আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে অগ্নিকা-ের ঘটনায় গত ১১ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। অন্যদিকে ১৫ এপ্রিল ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ২২৬টি দোকান পুড়ে গেছে। মার্কেটের মালিক সমিতি বলছে, আগুনে ৩৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ (শটসার্কিট) থেকে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে ৬ তলা গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হয়। আহত হন অর্ধ শতাধিক। এ ঘটনায় ভবন মালিক ও হোটেল মালিক, ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। এই অগ্নিকা-ের পর হোটেল রেস্তোঁরায় সাড়াশি অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিস, রাজউক ও সিটি করপোরশন। তারা বলছেন, ভবনের নিচ তলার একটি রেস্টেুরেন্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি এখনো তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

https://www.dailysangram.info/post/552149