৩ নভেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ২:৩৩

পেঁয়াজ ও ডিমের পথেই আলু আমদানি

বাজারদর কমানোর জন্য সরকার ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়। কয়েক দফায় ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়ার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত দেশে আসেনি আমদানি করা ডিম। একইভাবে কয়েক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিলেও এসেছে খুবই কম। উচ্চমূল্যের প্রেক্ষাপটে সরকার গোলআলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত তিন দিনে এক লাখ ৭ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বিপরীতে দেশে এসেছে সাত ৭৭ মেট্রিক টন আলু। তাই প্রশ্ন জেগেছে আমদানির অনুমোদন পাওয়া আলুও পেঁয়াজ ও ডিমের পথেই হাঁটছে কিনা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকার আলু আমদানির অনুমতি দিলেও বাজারে এর প্রভাব নেই। পুরনোর আলু ৬৫-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে অল্প পরিমাণে হলেও বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়। এর আগে বাজারে উচ্চমূল্য ঠেকাতে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয়। ভারতসহ ১০টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হলেও এসেছে খুবই কম। এ কারণে পেঁয়াজের দাম দেড় শ’ টাকা কেজিতে ঠেকেছে।


গত ১৪ সেপ্টেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বৈঠক করে খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা এবং প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা বেঁধে দেয়। একই সময় দেশী পেঁয়াজের দামও ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু দাম বেঁধে দেয়ার পর গত দেড় মাসে বাজার কমার পরিবর্তে উল্টো দিকে হাঁটছে। মানুষের এই তিন নিত্যপণ্যের দাম রেকর্ড হারে বিক্রি হওয়ায় নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/788688