২৮ অক্টোবর ২০২৩, শনিবার, ৭:৩৯

ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট টর্চারের আহ্বান

নির্বাচনের আগে সরকারকে নির্যাতন বন্ধ করতে হবে

 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতা বন্ধ এবং মানবাধিকারকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছে নিপীড়নবিরোধী আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট টর্চার (ইউএটি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় ইউএটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বাড়ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনাও বাড়ছে। রাজনৈতিকভাবে ভিন্নমতাবলম্বী ও মানবাধিকারকর্মীরা বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। একই সঙ্গে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর হামলা বেড়েছে। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ইউএটির স্বাক্ষরকারী সংস্থাগুলো রাষ্ট্রীয় সহিংসতা বন্ধ করতে এবং মানবাধিকার-সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

ইউএটি যে ছয়টি আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী সংগঠন নিয়ে গঠিত, তার একটি হলো ইন্টারন্যাশনাল রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল ফর টর্চার ভিকটিমস (আইআরসিটি)। আইআরসিটির মহাসচিব লিসা হেনরি বলেন, বাংলাদেশে আমাদের প্রতিনিধিরা বলেছেন গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন প্রতিদিনই ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে নির্যাতন বাড়ছে। ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার ও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য নিপীড়নের ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে আমরা বাংলাদেশে আমাদের সদস্য ও সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট টর্চারে স্বাক্ষর করেছে ঢাকা। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন পাশ হয়েছে। এ আইনের আওতায় নির্যাতনকে অপরাধ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চারকে (সিএটি) প্রতিবেদন দিতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ। একই বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার করেন, কোনো নিরীহ মানুষকে নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার করা যাবে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থকদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।

পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীরাই প্রথমে তাদের ওপর হামলা করেছেন। তবে ঘটনার ভিডিও বিশ্লেষণ করে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, মেঝেতে শুয়ে থাকা অবস্থায়, নিরস্ত্র কিংবা দৌড়ে পালাতে থাকা বিক্ষোভকারীদের পিটিয়েছে পুলিশ। জাতিসংঘের বিধি অনুযায়ী, হুমকিপূর্ণ সহিংস আচরণ না করলে কোনো ব্যক্তিকে লাঠিপেটা করা যাবে না।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/733596