২৮ অক্টোবর ২০২৩, শনিবার, ৭:৩৪

পেঁয়াজ আলু ব্রয়লার মুরগির দাম চড়া এবার গরীবের ভাতের দাম বাড়লো

নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা চলছেই। একের পর এক বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সবচেয়ে কম দামি পণ্য আলুর দাম বেড়ে ৬০ টাকা হওয়ার পর এবার গরিবের ভাতের মোটা চালের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। যার ফলে আলুর ভর্তা দিয়ে মোটা চালের ভাত খাওয়াও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীতে মোটা চালের দাম খুচরা বাজারে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অপর দিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজ, আলু, ব্রয়লার মুরগির দাম। এর মধ্যে পেঁয়াজ, আলুর দাম সরকার বেঁধে দিয়ে রেখেছে, যা এখন বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত ওই দামের প্রায় দ্বিগুণে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, মোটা জাতের বি আর ২৮ চালের দাম দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। এর প্রভাবে স্বর্ণা পাইজাম চালের দামও বেড়েছে। এখন বি আর ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকা, যা ৫০-৫২ টাকা ছিল। তবে সরু চাল মিনিকেট ও নাজিরশাইল আগের মতো যথাক্রমে ৬৮-৭২ টাকা এবং ৭২-৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাল ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, চলতি সপ্তাহে আরেকদফা বেড়েছে সরকারের বেঁধে দেওয়া পণ্য পেঁয়াজ ও আলুর দাম। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি বাছাই করা পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১১০ টাকা পর্যন্ত। যা গত সপ্তাহের থেকে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেশি। অন্যদিকে, আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজ একইভাবে বেড়ে ৮৫-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও সরকারের বেঁধে দেওয়া পেঁয়াজের দর প্রতি কেজি ৬৫ টাকা। আবার বাজারে আলুর দাম ঠেকেছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা বেশি। আর সরকার নির্ধারিত আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৬ টাকা।

সবজি বাজারের আগুন এখনো কমেনি। অধিকাংশ সবজির দাম ৮০ থেকে ১০০  টাকা কেজি। বাজারে লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৮০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১৪০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৭০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, মূলা ৭০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা,  ঢেঁড়স ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা,  ধুন্দল ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০-১০০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, শিম ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি লাউ ৮০ টাকা, ফুলকপি ৬০-৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা ও চাল কুমড়া ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। 

মাছের বাজারেও দেখা গেছে দাম বেশি। রুই মাছ ৪০০-৬০০ টাকা,  কাতল মাছ ৪০০-৫৫০ টাকা, কালিবাউশ ৬০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০-১২০০ টাকা, কাঁচকি মাছ  ৫০০ টাকা, কৈ মাছ ৩৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৮০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০-৫৫০ টাকা, বেলে মাছ ১০০০ টাকা, টেংরা মাছ ৮০০ টাকা, কাজলি মাছ ১০০০-১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

ব্রয়লার মুরগি ১৮৫-২০০ টাকা, কক মুরগি ২৯২-৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৩০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর গোশত ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির গোশত ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি। এদিকে প্রতি ডজন লাল ডিম ১৫০-১৬০ টাকা ও সাদা ডিম ডজন প্রতি ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

এছাড়া মুদি দোকানের পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। চিকন মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, মুগ ডাল ১৩০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯০ টাকা, ছোলা ৭৫ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, চিনি ১৩৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৪০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১২০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

https://www.dailysangram.info/post/539226