৭ অক্টোবর ২০২৩, শনিবার, ১২:৪৪

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবর্তে নিজেদের মতকেই চাপিয়ে দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আ’লীগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ দ্রুত ঘনিয়ে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতিতে যে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দরকার, তেমন নির্বাচনের প্রতি শাসকগোষ্ঠীর কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। আগ্রহের পরিবর্তে নিজেদের মতকেই চাপিয়ে দিতে চাইছে। এমন বক্তব্য বিশিষ্টজনদের। তারা বলছেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন শুধু দেশের মানুষই নয়, আন্তর্জাতিক বিশ্বও চাইছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলে দিয়েছে, তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। পরে যখন দেখল এতে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না, তখন তারা প্রয়োগ শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র সাম্প্রতিক এসব সিদ্ধান্ত একটা স্পষ্ট বার্তা। তারা মনে করছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মহলের এ বার্তা সরকারি দল বোঝার চেষ্টা করছে না। বরং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা না নিয়ে উলটোপথে হাঁটছে। অর্থাৎ শরীরে রোগ আছে, সেটা স্বীকারই করছে না। ফলে চিকিৎসা নেয়ার কোনো তাগিদ নেই। এ পরিস্থিতিতে সম্ভবত ক্ষমতাসীনরা একটি একতরফা নির্বাচনই করতে যাচ্ছে। এমনটা হলে দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাবে। এর মাশুল পুরো জাতিকে দিতে হবে।

সূত্র মতে, নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী ২০২৩-এর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা ২০২৪-এর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। নির্বাচনের সময় দ্রুত এগিয়ে আসলেও মানুষের মাঝে এ নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা নেই। উল্টো সবাই আশংকার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। সবার একটাই প্রশ্ন দেশে কী হতে যাচ্ছে? নির্বাচনের প্রশ্নে দেশে যে বিশাল রাজনৈতিক বিভাজন বিদ্যমান, তার কি কোনো সুরাহা হবে? যারা বর্তমান সরকারের জেল-জুলুম, মামলা-মোকদ্দমার শিকার হয়ে কষ্ট ভোগ করেছেন, তাদের জিজ্ঞাসা এমন দুঃসময়ের অবসান হবে কি? রাজনীতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়াটা খুবই দুরুহ। ক্ষমতার অন্ধ মোহে নিমজ্জিত হয়ে যে রাজনীতি যুক্তিহীন হয়ে পড়েছে, তার প্রেক্ষাপটে বুদ্ধিদীপ্ত কোনো জবাব দেওয়া সম্ভব নয়। অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশ যেন একটি হালভাঙা তরী, যেটি ভেসে চলেছে অজানা গন্তব্যে। হালভাঙা তরী নিয়ে যে কথা সহজে বলা যায়, তেমন কথা একটি রাষ্ট্র সম্পর্কে বলা যায় না।

শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ বলেছেন, একটি রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে এর জনগণ। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হয়। দেশের দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের অনেক কিছু বিবেচনা করে দেশ চালাতে হয়। দেশের জনগোষ্ঠীর মধ্যে নানা মতের, নানা আদর্শের মানুষ থাকে। এ মানুষগুলো ধর্মীয় বিশ্বাসের দিক থেকে একক কোনো ধর্মের অনুসারী হয় না। এমনকি তারা একই ভাষায় কথা বলে না। এ রকম বিচিত্র জনগোষ্ঠীকে নিয়ে একটি রাষ্ট্র গড়ে ওঠে। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সহমত গড়ে তুলতে হয়। তিনি বলেন, যে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় একটি জনগোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তাদের ঐক্য ও সংহতি নিশ্চিত করা যায় গণতন্ত্রের মাধ্যমে। গণতন্ত্র কোনো ত্রুটিমুক্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা নয়। তা সত্ত্বেও আজকের দিনটি পর্যন্ত মানবজাতি যেসব রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করেছে, তার মধ্যে গণতন্ত্র সবচেয়ে আদর্শ রাজনৈতিক ব্যবস্থা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাগুলোর মধ্যে অনন্য অবস্থানে রয়েছে গণতন্ত্র। দুর্ভাগ্যের বিষয়, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরেও আমরা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনি। সামরিক শাসন, স্বৈরতান্ত্রিক শাসন, ফ্যাসিস্ট শাসনসহ দুঃষহ শাসনের চাপে জনগণ চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে গেছে। মানুষ ভোট দিতে চায়, কিন্তু ভোট দিতে পারে না। মাফিয়া চক্রের মতো যারা ক্ষমতা আঁকড়ে থাকে, তারা নানামুখী ছলাকলা করে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রাখে। যে জনগণ শাসকগোষ্ঠীর শাসন বজায় রাখতে কর, খাজনা দিয়ে ব্যবস্থাটিকে চালু রাখে, তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই এই কৃতঘœ শাসকগোষ্ঠীর। যেভাবে বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতিতে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে, তেমন নির্বাচনের প্রতি শাসকগোষ্ঠীর কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। আগ্রহের পরিবর্তে নিজেদের মতকেই চাপিয়ে দিতে চাইছে।

বাস্তবতা তুলে ধরে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচনসংক্রান্ত বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামো, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে যে দলীয়করণ রয়েছে, তা থেকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। অতীতেও তা হয়নি। আগামী নির্বাচনেও তা হবে বলে বিশ্বাস করা কঠিন। ইউরোপীয় ইউনিয়নও অনেক সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা মনে করেনি যে, তাদের নাগরিকদের করের টাকা খরচ করে এমন একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজন আছে। ফলে শক্ত বক্তব্য দিয়ে কোনো কিছু পরিবর্তন করা যাবে না। আস্থা তৈরির জন্য সত্যিকারের পদক্ষেপ নিতে হবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ভালো নির্বাচন হবে না, এমনটি ধারণা করছে আন্তর্জাতিক মহল। নির্বাচন কমিশন এখন অসহায়। তাদের কিছু করণীয় নেই। তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কমিশন সংবিধানের বাইরে যেতে পারবে না। কমিশনের একমাত্র উপায় হচ্ছে, একতরফা নির্বাচন করব না-এমনটি বলা। তবে নির্বাচনের জন্য কমিশন নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে যে কমিশনই নির্বাচন করবে তাদের জন্য তা ক্রেডিট হবে না, বরং ডিসক্রেডিট হবে। কিন্তু তারা বলতে পারে, তাদের কী করণীয় আছে। নৈতিকভাবে নির্বাচন কমিশনের করণীয় আছে। কিন্তু আইনগতভাবে করণীয় নেই। এটা আমরা বাইরে থেকে বলতে পারি। তবে যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের সীমাবদ্ধতাও আছে। আর সিদ্ধান্ত তো সরকারকে নিতে হবে।

সূত্র মতে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে ভালো নির্বাচন হবে না, এমন একটি ধারণা ইতোমধ্যে নিয়ে নিয়েছে আন্তর্জাতিক কমিউনিটি। নির্বাচন যেভাবে হওয়ার কথা, গত দুই নির্বাচন ওইভাবে ভালো হয়নি। ২০১৪ সালে ভোটই হয়নি। একতরফা ভোট হয়ছে। আর ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতেই নিয়ে নেয়া হয়েছে। এবার যে ভালো হবে, তার নিশ্চয়তা তো সরকার জনগণকে, রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে পারছে না। তাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। যদি সরকার এভাবে নির্বাচন করে ফেলে, তাহলে সেটা হবে আরেকটি একতরফা নির্বাচন। ইতোমধ্যে দেশ আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে পড়েছে। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা তালিকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরপরও যদি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হয়, যেখানে বহু দল এবং প্রধান বড় রাজনৈতিক শক্তি, যাদের সরকার গঠনের ক্ষমতা আছে, তারা অংশ না নেয়, তাহলে সে নির্বাচন স্বীকৃতি পাবে না। বরং অন্য রকমের কোনো নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানা বাধা বিপত্তি সৃষ্টি করে এবং বিচিত্র ধরনের অপকৌশল অনুসরণ করে দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে যে বাধার সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে, তা যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়া থেকে বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্ন রাখা হবে। মানুষের মধ্যে ভীষণ হতাশাবোধের সৃষ্টি হবে। এ ধরনের হতাশাবোধ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং শান্তিপূর্ণ অগ্রগতির জন্য বিশাল বাধা হিসাবে কাজ করবে। এ ধরনের বাধার মধ্যে পড়ে জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশের মধ্য বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করলে তার ফল হবে ভয়াবহ। সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে বিশাল জনগোষ্ঠীর আকাক্সক্ষাকে পদদলিত করা হলে কোনো এক সময়ে প্রতিশোধ হিসাবে তা ফিরে আসতে পারে। এমন আশঙ্কা করছেন অনেকেই। আমাদের রাষ্ট্রের মালিক দেশের জনগণ। যেদিন দেশের জনগণের একটি বড় অংশ মালিকানাবোধ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্নবোধ করবে, সেদিন হবে বড় একটি ট্র্যাজেডির দিন।

সমাজ নিরীক্ষক ড. এম এ এস মোল্লা বলেছেন, ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর প্রধান তিন রাজনৈতিক জোট নির্বাচনকালীন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা তৈরি করার ফল হিসাবে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সত্যিকার সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা হাতছাড়া হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ, আমাদের রাজনীতিকরা এখনো গণতান্ত্রিক মানস গড়ে তুলতে পারেননি। খাঁটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও তারা দেশ সেবার চেয়ে নিজেদের সেবায় মন দিয়েছেন এবং ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার অনৈতিক ও অবৈধ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।

আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সরকারের সুবিধাভোগী জাতীয় পার্টিও। সম্প্রতি দলের যৌথ সভায় তারা এ শঙ্কা প্রকাশ করে। বৈঠকে বাংলাদেশের ওপর বিদেশীদের স্যাংশনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। একইসঙ্গে একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় চলে এলেও তার সময়কাল কতটুকু হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির নেতারা। সভাসূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তার মতে, বিদেশীরা বাংলাদেশের ওপর যেভাবে স্যাংশন দিচ্ছে তাতে আগামী নির্বাচন সময়মতো হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আবার আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে ফেললেও কতদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিও পরিষ্কার নয়। তাই এই অবস্থায় জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও কিছুদিন সময় নিতে চায়। আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটা পরিষ্কার হবে বলে মনে করেন জিএম কাদের।

এদিকে সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারসহ এক দফা দাবিতে ফের নতুন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ দলগুলো। আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। এরপর চূড়ান্ত আন্দোলনের দিকে যাবে তারা। জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার। এই সরকারের অধীনে কখনোই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। যা ইতিমধ্যে বারবার প্রমাণিত। এটি শুধু আমাদের কথা নয়, বিদেশিরাও একই বলছেন। তাই ক্ষমতাসীনরা যাই করুক না কেন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন এবার জনগণ হতে দিবে না। আমরা জনগণের সেই দাবি বাস্তবায়নে রাজপথে লড়াই করছি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া ও বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের নিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো পাতানো নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না। দেশে গণতন্ত্র নেই, জনগণের কথা বলার অধিকার নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। সরকার তার সামগ্রিক ব্যর্থতায় দেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আন্দোলনের মাধ্যমেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে এবং পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে বর্তমান জালেম সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যাতে সরকার কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে এবং এর অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।

https://www.dailysangram.info/post/537346