৪ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার, ১১:০২

ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির

অর্থনীতির সুখবর নেই

অনেক দিন ধরেই অর্থনৈতিক সংকটে দেশ। উত্তরণের চেষ্টাও চলছে। তবে কোনো কিছুতেই অর্থনীতির হারানো তেজ ফেরানো যাচ্ছে না। দিন যতই যাচ্ছে, বিভিন্ন সূচকে ভালো করার সুখবরগুলোও হারিয়ে যেতে বসেছে। বিভিন্ন সংস্থার হালনাগাদ তথ্য বলছে, অর্থনীতির প্রায় সব সূচকই এখন নিম্নমুখী। সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে রিজার্ভ ও রেমিট্যান্স নিয়ে। এর সঙ্গে ডলারের বাজারে চলমান অস্থিরতা অর্থনীতির সব সম্ভাবনাকে অনেকটা থমকে দিয়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে।

আর নিত্যদিনের যন্ত্রণা হয়ে উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি। এটি একদিকে মানুষের সঞ্চয়ের টুঁটি চেপে ধরছে, অন্যদিকে ক্রেতার সক্ষমতায় চিড় ধরিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। এতে সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও যেমন তৈরি হয়েছে স্থবিরতা, তেমনি সরকারের রাজস্ব আয়েও বিরাট ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আবার সরকারের আয় কমে যাওয়ায় ব্যাংক থেকে ঋণ করার প্রবণতা বাড়ছে, যা কমিয়ে দিচ্ছে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ। বৈদেশিক বিনিয়োগ ও ঋণ পরিস্থিতিতেও চলছে ভাটা। নির্বাচনী অনিশ্চয়তাকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতি চলতি অর্থবছর আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। আর শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি তো আরও করুণ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতরকার চিত্রও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে আপাতত কোনো সুখবরের আভাস মিলছে না।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর কালবেলাকে বলেন, অর্থনীতির মানদণ্ড নির্ধারক গুরুত্বপূর্ণ সব সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা খুব খারাপ লক্ষণ। এর কোনোটাই ‘রোল মডেল অর্থনীতি’কে চিহ্নিত করে না। বরং চরম সংকটাপন্ন অবস্থারই বহিঃপ্রকাশ বলা যায়।

তিনি দাবি করেন, ‘বর্তমান অর্থনীতির কাঠামোগত অনেক সমস্যা আছে। সরকার সেখানে নজর দিচ্ছে না। মূল সমস্যা রাজস্ব আদায়ে। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি বলেই সরকারকে ধার করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংককেও বাধ্য হয়ে টাকা ছাপাতে হচ্ছে। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাচ্ছে। অথচ এ সমস্যাটি একেবারেই আমলে নেওয়া হয়নি। গত ১৫ বছর এ খাতে কোনো সংস্কার হয়নি। ব্যবসায়ীদের খুশি রাখতে সেদিকে যাচ্ছে না সরকার।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার না হওয়ায় লুটতরাজ বাড়ছে। দেশ থেকে টাকা পাচার বেড়েছে। কারা এ পাচারে জড়িত, সরকার তা জানার চেষ্টা করছে না। ডলারের বাজারে যে সংকট, সেটি খুব শিগগির কাটবে না। আর রপ্তানি আয় কমার অন্যতম কারণ হচ্ছে পণ্য বৈচিত্র্য না থাকা। অর্থনীতির এই সংকটগুলোকে যদি চিহ্নিত না করা হয়, তাহলে এই অবস্থার কোনো উন্নতি হবে না, বরং আরও বাড়বে।’

মহামারি করোনার আঘাত থেকে ক্ষয়িষ্ণু অর্থনীতির পুনরুদ্ধার চেষ্টায় দেশ সফল হলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় তা অনেকটাই ম্লান। চলমান সংকটে উদ্বিগ্ন সরকারও। পরিস্থিতি সামলাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে তা খুব একটা কাজে আসছে না। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক এবার দেশের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ নিতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক কালবেলাকে বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই অর্থনীতি একটা সংকটে আছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নেই। তবে কাটিয়ে ওঠার উদ্যোগও আছে। সময়ের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ হলো রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। রিজার্ভ বাড়াতে রেমিট্যান্স বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখাসহ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সঠিক কি না এবং এর সঙ্গে আরও সম্পূরক কিছু করা যায় কি না, সেজন্য দেশের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।’

রিজার্ভ নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা: বলা হয়ে থাকে, যে দেশে যত বেশি রিজার্ভ, সেই দেশ অর্থনৈতিকভাবে তত বেশি টেকসই হয়। যে কোনো সংকট মোকাবিলায় সক্ষমতাও বেশি থাকে। বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিস্থিতিও একেবারে মন্দ ছিল না। তবে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ভুল নীতি’র কারণে তা কমে এখন উদ্বেগজনক অবস্থায় নেমে এসেছে। আইএমএফের ব্যালান্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) অনুযায়ী, গত ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এ পর্যায়ে নেমে এসেছে, যা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় শঙ্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘাটতি রাজস্বেই যত দুশ্চিন্তা: সরকারের অর্থায়নের প্রধান উৎস হলো রাজস্ব খাত। এখানকার বড় ঘাটতি থেকেই অর্থনীতির সব সমস্যার সূত্রপাত। নানা চেষ্টায়ও এর উন্নতি ঘটানো যাচ্ছে না। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও (জুলাই-আগস্ট) রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ৪ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। যেটুকু আদায় হয়েছে, তার বড় অংশ আবার ভ্যাট। আমদানির ওপর নানা বিধিনিষেধের প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে। ফলে সরকারকে ব্যয়ের খাতে ঘাটতি পরিস্থিতিই মোকাবিলা করে চলতে হচ্ছে।

ডলারের বাজারে অনিশ্চয়তা: দেশে ডলার প্রবাহের মূল উৎস দুটি। এক. পণ্য ও সেবা রপ্তানির বিপরীতে আয়। দুই. প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই এ দুই উৎসে ভাটা পড়ে। ফলে ব্যাংকগুলো চাহিদামতো ঋণপত্র খুলতে সমস্যায় পড়ে। মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে রিজার্ভ থেকে গত ২০২২-২৩ অর্থবছর রেকর্ড সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক—যা তার আগের (২০২১-২২) অর্থবছরে ছিল সর্বোচ্চ ৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অন্যদিকে, বাজারে ডলারের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে বারবার টাকার অবমূল্যায়নও হয়েছে। তবু সংকট কাটেনি। সর্বশেষ রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম কার্যকর করা হয় ১১০ টাকা। কিন্তু খোলাবাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১১৭-১১৮ টাকায়।

সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, পাঁচ কারণে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট সহসাই দূর হচ্ছে না। এগুলো হলো—অনিষ্পন্ন আমদানি দায়, ব্যাপক আমদানির চাপ, চলতি অর্থবছর বিদেশ থেকে নেওয়া স্বল্পমেয়াদি ঋণ পরিশোধে বাড়তি অর্থ ব্যয়, দেশ থেকে পাচার বৃদ্ধি এবং বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসা কমে যাওয়া।

কমছে আমদানি: বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর অর্থনীতির দেশে দীর্ঘদিন ধরে আমদানিতে চলছে কড়াকড়ি ও নানা বিধিনিষেধ। ফলে চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার আমদানি হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছর (জুলাই-আগস্ট) আমদানিতে ঋণপত্র বা এলসি খোলার হার কমেছে ১৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। একই সময় এলসি নিষ্পত্তির হার কমেছে ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ।

অন্যদিকে, এ সময়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানি নিষ্পত্তি কমেছে যথাক্রমে ৩৪ দশমিক ৮৩ এবং ৩২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

বাড়ছে মূল্যস্ফীতি: সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিয়েও মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানা যাচ্ছে না। বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা বাস্তবতায় এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশে মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিটের দ্বারপ্রান্তে ঘোরাফেরা করছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন বলছে, গত আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা গত ১১ বছর সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৯ ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

বিনিয়োগে স্থবিরতা: বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপে একদিকে কমছে আমদানি, অন্যদিকে বাড়ছে ব্যাংক ঋণের সুদহার। ফলে নতুন বিনিয়োগে যেতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদাও কমে যাচ্ছে। চলতি বছর জুলাইয়ে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকটি ডাবল ডিজিট থেকে এক অঙ্কের ঘরে (৯ দশমিক ৮২) শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগস্টে আরও কমে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশে দাঁড়ায়।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন—এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া অর্থনীতির জন্য মোটেও স্বস্তিকর নয়। এটি বিনিয়োগ কমে যাওয়াকেই ইঙ্গিত করে। কারণ, দেশের মোট বিনিয়োগের অধিকাংশই আসে ব্যাংকিং সেক্টরের ঋণ থেকে। এই ঋণ বিনিয়োগ কমে গেলে উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান কমে যাবে। ফলে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের যে লক্ষ্য রয়েছে, তাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি সরকারের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে।’

শঙ্কামুক্ত নয় রপ্তানি আয়: দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস রপ্তানি খাত। এখন পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব হলেও তা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩৯৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। তবে এসেছে ১ হাজার ৩৬৮ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় ২ দশমিক ১৭ শতাংশ কম হয়েছে। একক মাস হিসেবে সেপ্টেম্বরেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কম হয়েছে।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের রপ্তানি খাত। যার প্রভাব পড়েছে তৈরি পোশাক খাতে।’

ঘাটতি পূরণে রেকর্ড ঋণে সরকার: রাজস্ব ঘাটতির বিপরীতে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকারের ব্যয় অত্যধিক বেড়েছে। এই ঘাটতি পূরণে সরকারকে ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিতে হচ্ছে। গত (২০২২-২৩) অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার ১ লাখ ২৪ হাজার ১২২ কোটি টাকা ঋণ নেয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেই ঋণ নেওয়া হয় ৯৮ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলত নতুন টাকা ছাপিয়ে এর জোগান দিয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও (জুলাই-আগস্ট) সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১৮ হাজার ৮০৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে।

উদ্বেগ বাড়াচ্ছে খেলাপি ঋণ: সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অভাব ও ছাড় দেওয়ার মানসিকতার কারণে ব্যাংকিং খাতে বিদ্যমান খেলাপি ঋণের চিত্র অর্থনীতিতে আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। শুধু টাকার অঙ্কে নয়, বেড়েছে শতকরা হিসাবেও। চলতি বছর জুনে বিতরণ করা ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশই খেলাপি হয়ে পড়েছে, যা গত ডিসেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। অন্যদিকে গত জুন শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের এই হার দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ছয় মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।

জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘দেশে ঋণ খেলাপিদের তিরস্কারের পরিবর্তে পুরস্কার দেওয়া হয়। এটি ব্যাংক খাতের জন্য অশনি সংকেত।’

https://www.kalbela.com/ajkerpatrika/firstpage/28186