৪ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার, ১০:৩১

বাংলাদেশসহ অনেক দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক : গুতেরেস

বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, জাতিসঙ্ঘ সবরকম ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধমূলক তৎপরতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভিন্নমত পোষণকারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও উৎপীড়নের ব্যাপারে জাতিসঙ্ঘ জিরো-টলারেন্স নীতি মেনে চলে। জাতিসঙ্ঘ মনে করে, আলাপ-আলোচনা ও সংলাপের ভিত্তিতে যাবতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব।

বাংলাদেশ ছাড়াও আরো ৩৯ দেশে এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব।
‘কো-অপারেশন উইথ ইউনাইটেড ন্যাশনস, ইট’স রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যান্ড মেকানিজমস ইন দ্য ফিল্ড অব হিউম্যান রাইটস’ নামে একটি প্রতিবেদন গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড ন্যাশনস হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি)। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউএনএইচআরসির অধিবেশনে প্রতিবেদনটি উত্থাপন করা হয়েছে। মোট ৪০ দেশের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশগুলো হলো, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, আলজেরিয়া, মিসর, ফ্রান্স, গুয়েতেমালা, ইরান, ইরাক, ইসরাইল, সৌদি আরব, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, ফিলিপাইন, কাতার, রাশিয়া, দক্ষিণ সুদান, তানজানিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, ভেনিজুয়েলা, ইয়েমেন, বাহরাইন, বেলারুশ, বুরুন্ডি, অ্যান্ডোরা, ক্যামেরুন, চীন, কলম্বিয়া, কিউবা, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, জিবুতি এবং ফিলিস্তিন। ২০২২ সালের ১ মে থেকে ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সংগ্রহ করা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা ইউএনএইচআরসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪০ দেশের অন্তত ২২০ ব্যক্তি ও ২৫ প্রতিষ্ঠান সরকার এবং প্রভাবশালী গোষ্ঠীর লাগাতার হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধপরায়ণতার শিকার হয়েছে। রাষ্ট্র ও ক্ষমতাবানদের উৎপীড়নের শিকার এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সবাই মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক সমাজের সাথে সম্পৃক্ত।

গত সোমবার দেয়া বিবৃতিতে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে বলেন, সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে আরো গণতান্ত্রিক করে তুলতে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আমরা প্রতিশোধমূলক মামলাগুলোর প্রতি নিজেদের প্রতিক্রিয়া আরো জোরদার করব। আমাদের বার্ষিক প্রতিবেদনগুলোতে এ সংক্রান্ত ঘটনা শনাক্ত করা ও নথিপত্রসহ উপস্থাপন করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আমরা এ বিষয়ক তথ্যের প্রচারও শক্তিশালী করব।

প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচআরসির প্রধান ও জাতিসঙ্ঘের সহকারী মহাসচিব ইলেজ ব্র্যান্ডস কেহরিস বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে তারা উৎপীড়নের শিকার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঠিক সংখ্যা তুলে আনতে পারেননি। বাস্তবে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/781641