বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তি দাবি করে নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়ঃ-

“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বিগত ১৫ বছর যাবত জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে সরকার জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করতে চায়। তারা বিরোধীদলের অস্তিত্ব স্বীকার করতে রাজি নয়। সরকার জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। তাঁকে কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি করা হয়। আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমান একজন সমাজসেবী, মানবদরদী ও জনকল্যাণমূলক কর্ম বান্ধব ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন ধর্মভীরু ও শান্তিপ্রিয় মানুষ। তাঁর মত একজন পরিচ্ছন্ন ইমেজের ও মানবদরদি মানুষের বিরুদ্ধে এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়েরের ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ হয়রানি ও বাড়াবাড়ি বন্ধ করে আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানসহ আটক সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং আলেম-উলামার নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।”