বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর নামাজে জানাযা আজ ১১ মে সকাল পৌনে ৭টায় পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার মনমথপুর গ্রামের কবরস্থানের পাশের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মেঝ ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন। নামাজে জানাযা শুরুর পূর্বে তিনি তার পিতা শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর জন্য সকলের দোয়া কামনা করেন। নামাজে জানাযা শেষে তাকে মনমথপুর গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই জানাযায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন এবং পার্শ্ববর্তী জেলা জামায়াতের আমীর, সেক্রেটারী ও ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ। সকাল ৯.৩০ মি: প্রথম গায়েবানা নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এ জানাযায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সভাপতি সোয়েব শাহরিয়ার, সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর শাহিনুর আলম প্রমূখ।
গায়েবেনা নামাজে জানাযার পূর্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম। তিনি বলেন, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ছিলেন। কোন দুর্নীতি তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। এমন একজন সৎ মানুষকে এই জালেম সরকার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করলো। মাওলানা নিজামীকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে কেউ কখনো হত্যা করতে পারবে না।
দ্বিতীয় গায়েবানা নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ১০:৩০ টায়। হাজার হাজার সাধারণ মানুষ এই গায়েবানা নামাজে জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। গায়েবানা নামাজে জানাযায় উপস্থিত ছিলেন, পাবনা জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা জহুরুল ইসলাম, পাবনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, পাবনা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আলম, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সোহেল, উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান, সাঁথিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল কুদ্দুসসহ জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ।
ভোর রাত থেকেই জনগণ তাদের প্রিয় নেতা শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে একনজর দেখার জন্য দলে দলে চতুর্দিক থেকে আসতে থাকে। গ্রামের সাধারণ মানুষ শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর কবরস্থানের পাশের মাঠে এসে ফজরের নামাজ আদায় করেন। প্রতিটি নামাজে জানাযায়ই হাজার হাজার মানুষ শরীক হন এবং মাওলানা নিজামীর শাহাদাত কবুলের জন্য চোখের পানি ফেলে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। সেখানে মানুষের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য সৃষ্টি হয় যা চোখে না দেখলে বুঝা যাবে না। শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী যে একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন তার প্রমাণ হলো তার নামাজে জানাযায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি।