৮ জুন ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৩:১৪

পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর বাড়ী-ঘরে হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক

যুবলীগের নেতা নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর লুটপাটের অমানবিক ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়

রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় কয়েকদিন পূর্বে যুবলীগের নেতা নূরুল ইসলাম নয়ন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে লংগদু উপজেলায় পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর বাড়ী-ঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুট-পাটের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ৮ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “যুবলীগ নেতা নূরুল ইসলাম নয়ন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই’শ বাড়ী-ঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের অমানবিক ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

যুবলীগ নেতার হত্যাকাণ্ডের পরে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর বাড়ী-ঘরে হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ী ও বাঙালীদের মধ্যে হামলা, সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা কারো কাম্য নয়। আমরা পাহাড়ী বাঙালীদের মধ্যে সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।

এ ধরনের ঘটনা তাদের এটিই প্রথম নয়। বাংলাদেশের সর্বত্র সংঘ্যালঘু জনগণ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সাধারণ মানুষ এদের লোভ-লালসা, খুন-রাহাজানি, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ সমস্ত অপকর্ম দলটির স্থায়ী কর্মকাণ্ডে এবং অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এ দলের নেতা-নেত্রীরা আইনের শাসনের ব্যাপারে গালভরা বুলি আওড়ালেও কার্যতঃ এদের কাছে আইন বড়ই অসহায়।

যুবলীগ নেতা নূরুল ইসলাম নয়নের হত্যাকাণ্ড ও পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর বাড়ী-ঘরে হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও যাদের বাড়ী-ঘর পুড়ে গিয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”