রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় কয়েকদিন পূর্বে যুবলীগের নেতা নূরুল ইসলাম নয়ন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে লংগদু উপজেলায় পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর বাড়ী-ঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুট-পাটের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ৮ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “যুবলীগ নেতা নূরুল ইসলাম নয়ন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই’শ বাড়ী-ঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের অমানবিক ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
যুবলীগ নেতার হত্যাকাণ্ডের পরে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর বাড়ী-ঘরে হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ী ও বাঙালীদের মধ্যে হামলা, সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা কারো কাম্য নয়। আমরা পাহাড়ী বাঙালীদের মধ্যে সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।
এ ধরনের ঘটনা তাদের এটিই প্রথম নয়। বাংলাদেশের সর্বত্র সংঘ্যালঘু জনগণ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সাধারণ মানুষ এদের লোভ-লালসা, খুন-রাহাজানি, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ সমস্ত অপকর্ম দলটির স্থায়ী কর্মকাণ্ডে এবং অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এ দলের নেতা-নেত্রীরা আইনের শাসনের ব্যাপারে গালভরা বুলি আওড়ালেও কার্যতঃ এদের কাছে আইন বড়ই অসহায়।
যুবলীগ নেতা নূরুল ইসলাম নয়নের হত্যাকাণ্ড ও পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর বাড়ী-ঘরে হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও যাদের বাড়ী-ঘর পুড়ে গিয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”