২৬ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার, ১:৪৬

দৈনিক কালের কন্ঠে প্রকাশিত রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির ব্যাপারে জামায়াতের বিরোধিতার কথা কেউই প্রমাণ করতে পারবেন না

জামায়াতকে জড়িয়ে মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না

দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় “কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেয়া” সম্পর্কে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ২৬ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার রিপোর্টটিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যেসব হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে সেগুলোর কোন ভিত্তি নেই।

কালের কণ্ঠ পত্রিকার রিপোর্টে কারো নাম উল্লেখ না করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, চরমোনাইর সাবেক পীর সাহেব মরহুম মাওলানা ফজলুল করিম, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনের বক্তব্যের বরাত দিয়ে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির ব্যাপারে জামায়াতের বিরোধিতার কথা কেউই প্রমাণ করতে পারবেন না। দেশবাসী সকলেই জানেন যে, কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দিয়ে কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষাস্তর দাওরায়ে হাদীসকে মাস্টার্সের মান দেয়ার বিষয়টি জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম শীর্ষ নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সর্বপ্রথম অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তৎকালীন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন এবং তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার তার প্রস্তাব গ্রহণ করে ২০০৬ সালের ২৯ আগস্ট একটি প্রজ্ঞাপন জারী করে কওমী মাদ্রাসার সনদকে সরকারী স্বীকৃতি প্রদান করেন।

চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদের শেষের দিকে এ স্বীকৃতি প্রদান করায় চারদলীয় জোট সরকার তা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করে যেতে পারেনি। ২৯ আগস্ট জারী করা প্রজ্ঞাপনের ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য আরো একটি প্রজ্ঞাপন জারী করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে জরুরী সরকার এবং আওয়ামী জোট সরকারের অনীহা ও দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি। জামায়াতে ইসলামী ও আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপোষহীন ভূমিকার ধারাবাহিকতাতেই বর্তমান সরকার কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করেছে।

উপরোক্ত তথ্য থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার রিপোর্টটিতে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যে সব বক্তব্য ছাপা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। কওমী মাদ্রাসার সনদকে সরকারী স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামী ও আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ম্লান করা এবং জামায়াতে ইসলামী ও কওমী মাদ্রাসার উলামাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টির হীন উদ্দেশ্যেই কালের কণ্ঠে এ অসত্য রিপোর্টটি ছাপা হয়েছে। এভাবে মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। 

তাই জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আশা করছি যে, তারা অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”