৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

দেশে অব্যাহত লোডশেডিং ও বিদ্যুৎখাতে ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সভা ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় দেশে অব্যাহত লোডশেডিং ও বিদ্যুৎখাতে ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়ঃ-

“দেশে অব্যাহত লোডশেডিং ও বিদ্যুৎখাতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণে জনজীবন আজ বিপর্যস্ত। একদিকে প্রচণ্ড গরম অপরদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলছে। গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎখাতে সরকারের ভয়াবহ দুর্নীতি, লুটপাট ও অনিয়মের কারণে বিদ্যুৎখাতে এক নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। কুইক রেন্টাল মূলত সরকার দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞগণ কুইক রেন্টালের বিরোধিতা করলেও সরকার সেদিকে কোনো কর্ণপাত করেনি।

বিদ্যুতের এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতি রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিরাজ করছে। গ্রামাঞ্চলে বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অপর দিকে বিদ্যুৎ না থাকায় রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ লাইন ধরেও পাম্পগুলো থেকে খাবার পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ না থাকায় পাম্পগুলো দিয়ে পানিও সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সরকার সে তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছেনা। উৎপাদন সক্ষমতা না বাড়াতে পারলেও সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে পাইকারি পর্যাযে ১১ বার এবং খুচরা পর্যায়ে ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।

অপরদিকে কয়লার মজুদ না থাকা ও ডলার সংকটের কারণে গত ৫ জুন থেকে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের মানুষ জানতে চায় জনগণ কর্তৃক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হলেও কেন কয়লার বকেয়া বিল পরিশোধ করা হলো না?

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অবিলম্বে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানকল্পে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।”