৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার

দিনাজপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উপজেলা আমীর ও কর্মপরিষদ সদস্যদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে

নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত আওয়ামীলীগকে নিজেদের ছকে করতে দেয়া হবে না। জনগণের বাক- স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হতে হবে। এই লক্ষ্যে যে আন্দোলন ও কর্মসূচি আসবে- তা বাস্তবায়নের জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান জালেম সরকারকে পদত্যাগে বাধ্যে করতে হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলা কর্তৃক আয়োজিত জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান-এর সভাপতিত্বে উপজেলা আমীর ও কর্মপরিষদ সদস্যদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিনা ভোটের জালিম সরকার ইসলামী মূল্যবোধ ও শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। পাঠ্যসূচি থেকে ইসলামকে বাদ দিয়ে তারা চরিত্রহীন অসৎ নাগরিক রি করছে- যা দেশ ও জাতির জন্য অশনিসংকেত। সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সরকার পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি বলেন, সরকার ডিজিটাল আইন বা সাইবার এ্যাক্ট এর মাধ্যমে মানুষের বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছে। অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে। সংবিধান স্বীকৃত জনগণের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে সব বিধি-নিষেধ ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে। একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শিকড় এ দেশের প্রতিটি গ্রামে-গঞ্জে, হাট-বাজারে ও শহর-বন্দরে বিস্তৃত। জনগণের হৃদয় থেকে জামায়াতে ইসলামীকে মুছে ফেলা যাবে না। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করার কোনো ষড়যন্ত্র দেশপ্রেমিক জনগণ কিছুতেই মেনে নিবে না। বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে চলতে দিতে হবে।

আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আটক সকল নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার সাজানো হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। যাদেরকে গুম-খুন করা হয়েছে এবং যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যাদেরকে এখনও গুম করে রাখা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে।

আরো উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আফতাব উদ্দিন মোল্লা, দিনাজপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলার আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, দিনাজপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা এ কে এম আফজালুল আনাম ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা রবিউল ইসলাম প্রমুখ।