গণতন্ত্র হরণকারী বর্তমান জালেম সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। ২০১৪ সালে নিয়ম রক্ষার নির্বাচনের কথা বলে তারা জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। প্রচন্ড আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে বর্তমান জালেম সরকারের বিরুদ্ধে প্রচন্ড গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত দায়িত্বশীল বৈঠকে উপরোক্ত কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম। ৩০ আগষ্ট বুধবার কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও পঞ্চগড় জেলা আমীর অধ্যাপক ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে জেলা কর্মপরিষদ এবং উপজেলা আমীর ও সেক্রেটারিদের নিয়ে এক দায়িত্বশীল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা আব্দুল খালেক।
মাওলানা আবদুল হালিম আল্লামা সাঈদী রাহিমাহুল্লাহ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে বলেন, সরকার বিনা চিকিৎসায় মাওলানা সাঈদীকে ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। দুনিয়ায় না হলেও হাশরের ময়দানে এর বিচার হবেই। মাওলানা সাঈদী শত প্রলোভনেও জালিমের কাছে নতি স্বীকার করেননি। বরং তিনি জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিদারুণ কষ্টের জীবন বেঁছে নিয়েছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় ১৩টি বছর পার করেছেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাননি, পরিবারকেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে দেয়া হয়নি।
এমনকি ইন্তিকালের পর এখনও তাঁর পরিবার ও অনুসারীদেরকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, জালিমের জুলুম কখনও স্থায়ী হয় না। আল্লামা সাঈদী ইসলামী আন্দোলনের জন্য ত্যাগের যে দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছেন তা আমাদেরকে অনুসরণ করতে হবে এবং বাংলাদেশের জমিনে কুরআনের বিধান প্রতিষ্ঠার কাজকে ত্বরান্বিত করতে হবে।
