বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা আমীর জনাব আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে ৩০ আগস্ট বুধবার ভার্চুয়ালি এক দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হতে হবে। এই দাবি আজ শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি নয় বরং এটা বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে বর্তমান জালেম সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। এই লক্ষ্যে জনগণকে সম্পৃক্ত করে গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এ সরকারে আমলে অসংখ্য মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম রাহিমাহুল্লাহর গর্বিত সন্তান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌকশ সেনা কর্মকর্তা সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য শহীদ মীর কাসেম আলীর পুত্র সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আরমান আহমদ বিন কাসেমসহ এখনো ছয়জন গুমের শিকার হয়ে আছেন। গুম-খুনের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীকে স্তব্ধ করা যাবে না। আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল, বিপদ-মুসিবতে সবর-এস্তেকামাত এবং আল্লাহর রহমত ও সাহায্যে ইসলামী আন্দোলনের কাজ এগিয়ে যাবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আন্তাজুল ইসলামের পরিচালনায় উক্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা নায়েবে আমীর ডক্টর খায়রুল আনাম, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুস সাত্তার, রংপুর মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সালাফি। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্মপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন উপজেলার আমীর, নায়েবে আমীর ও সেক্রেটারিবৃন্দসহ প্রমুখ।
