৫ জুলাই ২০২৩, বুধবার

চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আঁতাতের কথা বলে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করা যাবে না- মোবারক হোসাইন

জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য আমাদের শীর্ষ নেতাদের ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসির দণ্ড দিয়ে তা কার্যকর করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২৪৬ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৫ হাজার নেতাকর্মীকে পঙ্গু করা হয়েছে। প্রায় ১ লক্ষ নেতাকর্মীকে রিমান্ডে নিয়ে পৈশাচিক নির্যাতন করে গুরুতরভাবে আহত করা হয়েছে। বর্তমান জালিম সরকার এখনো জামায়াতে ইসলামীকে সমূলে উৎপাটন করার লক্ষ্যে মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে শতশত নেতাকর্মীকে ঘরবাড়ি ছাড়া করেছে। বর্তমান শীর্ষ নেতৃবৃন্দকেও দীর্ঘ দিন যাবত কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সত্ত্বেও কেউ কেউ জামায়াতে ইসলামীর সাথে আওয়ামীলীগের আঁতাতের গন্ধ খুঁজে বেড়ান। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই, জামায়াতে ইসলামী কখনো কারো সাথে আপোস কিংবা আঁতাতের রাজনীতি করে না। আঁতাতের কথা বলে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

৫ জুলাই বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক উপরোক্ত কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সরকার আবারো প্রহসনের নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। তারা ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। আমরা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে দেশবাসী কখনো হতে দিবে না। সরকারকে ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। হাসিনা সরকার যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, সব ধরনের নির্বাচনী প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও জামায়াতে ইসলামী কখনো নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জনগণ নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকারের দাবি আদায় করেই ছাড়বে, ইনশাআল্লাহ।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়তের আমীর জনাব মোঃ রুহুল আমিন, নায়েবে আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা আমীর দারুস সালাম, মামুন রেজা, শফিকুল আলম বকুল, তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।