২৫ মে ২০১৭, বৃহস্পতিবার

আসন্ন রমজানের পূর্বেই আমান আযমী ও ব্যারিস্টার আরমানকে তাদের পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযমের পুত্র, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আল আযমীকে এবং জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য শহীদ মীর কাসেম আলীর ছোট ছেলে ও বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানকে আসন্ন রমজানের পূর্বেই তাদের পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ২৫ মে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আল আযমী এবং ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানের জন্য তাদের মাতাসহ পরিবার-পরিজন দুঃখ বেদনায় ভারাক্রান্ত। তারা এখনও তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন।

সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আল আযমীকে ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় ডিবি পরিচয় দিয়ে বাড়ীর গেট ভেঙ্গে অন্যায়ভাবে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী এক দল লোক গত ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট দিবাগত রাত ১১টার পর রাজধানীর মীরপুরের ডিওএইচএস-এর বাসা থেকে ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানকে অন্যায়ভাবে আটক করে তুলে নিয়ে গিয়ে তাদের আটক করার কথা অব্যাহতভাবে অস্বীকার করে আসছে। তাদের অপহরণের প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না।

তাদের অপেক্ষায় তাদের পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজন অত্যন্ত পেরেশানীর মধ্যে বসবাস করছেন। তাদের অপহরণ করে দেশের অইন ও সংবিধান লংঘন করা হয়েছে। ব্যারিস্টার আরমানের পিতা শহীদ মীর কাসেম আলীকে সরকার অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। তিনি ফাঁসির পূর্বে তার পুত্রকে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্ত তাকে দেখে যেতে পারেননি। সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আল আযমীর বৃদ্ধা মাতা তার কোন খবর না পেয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত ও উদ্বিগ্ন অবস্থায় দিন অতিবাহিত করছেন। এর চাইতে দু:খের কথা আর কি হতে পারে? সরকারের এ ধরনের বেআইনী ও অমানবিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও আইনজীবী সমাজের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আল আযমী ও ব্যারিস্টার আরমানকে কোথায় কিভাবে রাখা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রকাশ করে আসন্ন রমজানের পূর্বেই তাদের পরিবার-পরিজনের নিকট তাদের ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”